ওয়েব ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা। কলকাতার এক রাতের জলযন্ত্রণার ছবি যেন আরও ভয়াবহ হয়ে ফিরল উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং-এ টানা ভারী বৃষ্টিতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে । একাধিক সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র যেমন টাইগার হিল, রক গার্ডেন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্য়সচীবকে নিয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে , বৃষ্টি চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। টয়ট্রেন পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে একগুচ্ছ ট্রেন।
রাতভর প্রবল বর্ষণে দার্জিলিং বিপর্যস্ত। ভেঙেছে সেতু, জল উঠেছে রাস্তায়। রাস্তায় ধস। মৃত্যু মিছিল মিরিকে। ধসের কারণে বিচ্ছিন্ন সিকিম, কালিম্পং। ভূমিধসে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবস্থা খারাপ রোহিণী রোডেরও। ভারী বর্ষণ ও একাধিক লাইনে জল জমে থাকায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি-ধুবড়ি ডেমু, এনজেপি-আলিপুরদুয়ার পর্যটক স্পেশাল এবং শিলিগুড়ি-বামনহাট এক্সপ্রেস। কিছু ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে, যেমন বিন্নাগুড়ি বা গুলমা স্টেশনে যাত্রা শেষ হয়েছে কয়েকটি ট্রেনের।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি, রাতভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভুটান সহ ডুয়ার্স
শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি মিরিক, মানেভঞ্জন যেতে হলে পেরোতে হয় যে দুধিয়া ব্রিজ, জলের তোড়ে ভোর তিনটেয় ভেঙে পড়েছে তা। শিলিগুড়ি-মিরিক সরাসরি যোগাযোগ আপাতত বন্ধ বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। মিরিকে ভেঙে পড়েছে লোহার ব্রিজ। মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মরসুমে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক।
রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে প্লাবিত ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ও বানারহাট এলাকা। জলে ডুবেছে গোটা এলাকা। প্রায় ৩০০ পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। হাতিনালার জলেও প্লাবিত হয়েছে বানারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। উদ্ধার কাজে ইতিমধ্যে এনডিআরএফ, পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনী নামানো হয়েছে। অনেকেই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও ধসের খবর পেয়ে ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তবে বৃষ্টি একাধিক জায়গায় ধস সরানোর কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও খবর।
দেখুন খবর: