কলকাতা: ৯ বছর পর রাজ্যে এসএসসি (SSC) পরীক্ষা। রবিবার নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (SSC recruitment)। ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। তার আগে প্রশ্নফাঁস রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ স্কুল সার্ভিস কমিশন। সকাল ১০টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল, এবং দেখা যায় সকাল ৯টা ৩০-মধ্যেই কালো পোশাক (Black Clothes) পরে পরীক্ষা দিতে এসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ।
চলতি বছরে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে রাতারাতি চাকরিহারা হয়ে পড়েন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। এর পর থেকেই ‘নন টেন্টেড’ শিক্ষকদের দাবি ছিল, কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। যদিও সেই দাবি পূরণ হয়নি। রবিবার নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নতুন পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষায় বসছেন ‘নন টেন্টেড’-রা। রবিবার পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ মেহবুব মণ্ডল (Mehbub Mandal)।
আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলের পর প্রথম নিয়োগ পরীক্ষা, কড়া নিরাপত্তা
প্রতিবাদ জানাতে কালো পোশাক পরে আসেন মেহবুব। এছাড়াও চিন্ময় মণ্ডল (Chinmay Mandal) সহ আরও অনেককে কালো জামা বা পাঞ্জাবি পরে পরীক্ষাকেন্দ্র আসতে দেখা গেছে। তাঁদের বক্তব্য, পরীক্ষা দিতে এসে তাঁরা এমন অনেককে দেখছেন যাঁরা ছাত্র। কোনও কোনও সহকর্মী বা ছাত্র ইনভিজিলেটর হিসেবেও থাকবেন। এই বিষয়টিই তাঁদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এদিন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে চাকরিহারা শিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার্থী চিন্ময় মণ্ডল (Chinmay Mandal) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পুরো ব্যাপারটাই বিভীষিকাময়। আমরা যারা যোগ্য হয়েও আজকে পরীক্ষা দেব, পুরোপুরি নতুনদের সঙ্গে একটা অসম লড়াই। এই লড়াইটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা নতুন নতুন আপার প্রাইমারিতে চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের আমরা সহকর্মী বলে থাকি, তাঁরাই আমাদের ইনভিজিলেটর হিসেবে কাজ করবেন। আমরা তাঁদের নজরদারিতে আজকে, তাঁদের কাছে পরীক্ষা দিতে বসব। এটা আমাদের কাছে ভীষণ হতাশার। একটা মানসিকতা থাকে, একটা নীতিবোধ থাকে। আমরা আমাদের নীতিবোধের কাছে হেরে যাচ্ছি। আমাদের মন কোনোভাবেই এটা মেনে নিচ্ছে না। ৯০ মিনিটের ভিতরে কতটা লিখতে পারব জানি না। তবে সবাই নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছে। বিস্তারিত হয়তো অনেকেই পড়তে পারেননি, সময় পাননি। বিগত দিনে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, দুর্নীতির কারণেই আমাদের চাকরিগুলো চলে গিয়েছে। আগামীদিনেও, আজকের পরীক্ষাতেও যে দুর্নীতি হবে না, সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না।”
দেখুন খবর: