নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের (Job Cancellation) মামলা। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের (Bengal SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার পরবর্তী শুনানি। সোমবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই সমস্ত প্যানেল বাতিলের দাবি করছি। গোটা ঘটনাটিকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে দাবি করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রথমে আসল কনটেনশন নিয়ে বলুন। কেন গোটা নিয়োগটাই বাতিল করা প্রয়োজন। বিরাশরঞ্জন বলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব নয়। সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়েছে অন্যায়ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের রক্ষার জন্যই। অনেকে আবেদন না করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছে। সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করা হয়েছিল হাইকোর্টের দ্বারা, কারণ বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রথমে আসল কনটেনশন নিয়ে বলুন। কেন গোটা নিয়োগটাই বাতিল করা প্রয়োজন। যদিও নতুন করে নিয়োগের বিষয়টিতে একমত নয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বলেন, নতুনভাবে নিয়োগ করতে গেলে অনেক জটিলতা তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যেই বন্ধ হচ্ছে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প!
বিকাশরঞ্জন বলেন কারণ, রাজ্যসরকার স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিযুক্ত হওয়া শিক্ষকদের রক্ষা করতে আদালতে আবেদন দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ ৪ বার সুযোগ দিয়েছিল এসএসসিকে এভিডেভিট দেওয়ার। যাঁরা প্যানেলেই ছিলে না এমন প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছিলেন, সেটার কথা উল্লেখও করা হয়নি। মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়েছিল। এবং সে কারণেই হাইকোর্ট বেতন ফেরত দিতে বলে। এসএসসি এখনও এরকম আরও কতজন আছে তাঁদের তালিকাও দিতে পারেনি।
ওএমআর শিটে নম্বর নিয়ম মেনেই প্রকাশ করা হয়েছিল কি না, তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। জবাবে বিকাশ জানান, নিয়ম মেনে কাজ হয়নি। ২০২১ সালে রিট পিটিশন ফাইল করার পর আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে ২০২২ সালের জুন মাসে ওএমআর শিটের নম্বর প্রকাশ করা হয়। তার আগে রেজাল্ট বেরিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিকাশ বলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া বিতর্কিত। তাই গোটা প্যানেল বাতিল করা উচিত। রাজ্যের উচিত ছিল স্বচ্ছভাবে কাজ করা।
অন্য খবর দেখুন