Friday, August 29, 2025
HomeScrollঐতিহ্য হারাচ্ছে মানভূমের টুসু পরব, নেপথ্যে মোবাইল আসক্তি?

ঐতিহ্য হারাচ্ছে মানভূমের টুসু পরব, নেপথ্যে মোবাইল আসক্তি?

ওয়েব ডেস্ক: আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন ঐতিহ্য হারাছে পুরুলিয়ার (Purulia) টুসু পরব (Tusu Festival)। পৌষ সংক্রান্তির দোরগোড়ায় পৌঁছেও বিক্রি নেই টুসু চৌদলের। তাই এখন হতাশার ছাপ পড়েছে চৌদল প্রস্তুতকারকদের চোখেমুখে। যদিও একটা সময় ঝালদার (Jhalda) সাপ্তাহিক হাট বা তুলিন হাটে প্রায় এক মাস ধরে চৌদল কেনার জন্য ভিড় জমাতেন মহিলারা। সেই হাটে আজ যেমন ভিড় নেই, তেমনই নেই বিক্রিবাটা। আসলে এখন সকলের মোবাইল আসক্তি (Mobile Addiction) এইসব ঐতিহ্যবাহী উৎসবের জৌলুস যে অনেকাংশে ফিকে করে দিয়েছে, তারই প্রমাণ দিচ্ছে এই পরিস্থিতি।

এই বিষয়ে ঝালদা খাটঝুরি গ্রামের চৌদল প্রস্তুতকারক ভীম কুইরি, দেবেন কুইরি ও প্রেমলাল কুইরিরা জানান, এক সময় ঝালদা হাটে প্রচুর পরিমাণে চৌদল বিক্রি হত। কিন্তু এখন আর সেরকম বিক্রি হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, “আধুনিক যুগের ছেলেমেয়েরা মোবাইলে ব্যস্ত। তাই তাঁরা স্থানীয় সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে। আমরা সংস্কৃতি রক্ষায় চৌদল বানিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সেরকম বিক্রি নেই।”

আরও পড়ুন: বাংলায় স্কুলছুট শূন্য, অনেক পিছিয়ে বিহার! রিপোর্টে জানাল কেন্দ্র

একসময় গ্রামের ২০ থেকে ২৫ জন চৌদল বানাত। এখন মাত্র কয়েকজন টুসু পরব পালন করে। কারণ চৌদলের বিক্রি তো কমেই গিয়েছে। সেই সঙ্গে সাজ সামগ্রীর দামও অনেকটাই বেড়েছে। যদিও টুসু পরব হল মানভূমের সব থেকে বড় উৎসব। আগে এক মাস ধরে গ্রামে গ্রামে টুসুর আরাধনা হত। এক মাস পর মকর সংক্রান্তির দিন ধুমধাম করে টুসু বিসর্জন করা হত। কিন্তু আজ সেসব অতীত।

এই অবস্থায় পুরুলিয়ার চৌদল নির্মাতাদের দাবি, “আমরা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে টুসুর চৌদল তৈরি করে আসছি। আমাদের একটাই আবেদন, যাতে প্রশাসন আমাদের উপর নজর দেয়।”

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News