ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja) বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। এই সময়ে শুধু আনন্দ নয়, অর্থনৈতিকভাবে বহু মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে পুজোর উপর। কুমোরটুলি (Kumortuli) থেকে শুরু করে মণ্ডপসজ্জার শিল্পী—সবাই পুজোর আগমনে নতুন আশায় বুক বাঁধেন। সেই শিল্পীদের মধ্যেই একজন হলেন দাসপুরের প্রেমচাঁদ মুখার্জী (Premchand Mukherjee)। বিগ-বাজেটের পুজো মানেই তাঁর থিম সাজসজ্জার ছোঁয়া থাকবেই। শুধু ঘাটাল (Ghatal) মহকুমায় নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর কাজের খ্যাতি।
এবছর তিনি চারটি বড় বাজেটের পুজো মণ্ডপের কাজ করছেন। থিমের প্রতিযোগিতা তুঙ্গে বলে তাঁর বাড়িতে এখন রাতদিন কাজ চলছে। তাঁর সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ৫০ জন কর্মী। পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে মণ্ডপ সাজানো তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। ফেলে দেওয়া সামগ্রী ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে শিল্পের মাধ্যমে থিম ফুটিয়ে তুলছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এখানে দেবী ব্যাঘ্রবাহিনী, বৈচিত্র্যময় অযোধ্যার জমিদার বাড়ির পুজো
আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা থাকলেও তাঁরা পিছিয়ে নেই। সময়মতো কাজ শেষ করতে ইতিমধ্যেই মণ্ডপ সাজানোর উপকরণ নিয়ে রওনা দিয়েছেন শিল্পীরা। একেকটি থিমের জন্য ভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। কোথাও ব্যবহৃত হচ্ছে পুরোনো কাঠ, কোথাও বা ধাতব অংশ, আবার কোথাও প্রাকৃতিক উপাদান। বিশেষ করে একটি মণ্ডপের জন্য বিভিন্ন বাতিল জিনিস দিয়ে শিল্পসম্মতভাবে সাজানো হবে। প্রেমচাঁদ মুখার্জী জানিয়েছেন, “আমি গত ২০ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। দর্শনার্থীদের মন কাড়াই আমাদের লক্ষ্য।”
দুর্গাপুজোর আনন্দের পাশাপাশি শিল্পী, কারিগর, ব্যবসায়ী—সবাই এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করেন। প্রেমচাঁদ মুখার্জীর মতো শিল্পীরা শুধু শিল্প সৃষ্টি করেন না, তাঁদের কাজ বহু পরিবারের জীবনচাকা সচল রাখে। পরিবেশের প্রতি সচেতন থেকে, দক্ষতার সঙ্গে এবং সময়মতো কাজ শেষ করার এই লড়াই তাঁকে অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণার নাম করে তুলেছে।
দেখুন আরও খবর: