ওয়েব ডেস্ক : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice President Election) ভোট বেচা-কেনার অভিযোগ প্রকট হয়ে উঠছে। ভোট কিনতে নাকি মাথাপিছু ১৫-২০ কোটি খরচ হয়েছে। গুরুতর এই বিষয়ে তদন্তের দাবি কংগ্রেস (Congress) সাংসদের। বিরোধী শিবিরের বোঝাপড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Vice President Election) হয়েছে দেশের সংসদে। অভিযোগ উঠেছে সেই নির্বাচনেই মাথাপিছু ১৫-২০ কোটি টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয়েছে। ভোট বিক্রি ইস্যুতে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগের তদন্তের দাবিও উঠেছে। ফল প্রকাশের পর INDIA শিবির থেকে যে NDA প্রার্থীর সমর্থনে ভোট পড়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে বিজেপি বিরোধী শিবিরের পারস্পরিক বোঝাপড়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই বিতর্কের আগুনে কার্যত ঘি ঢেলেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভায় দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও খবর : নাগরিকত্ব ইস্যুতে সোনিয়ার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ আদালতের!
তাঁর বক্তব্য, গোপন ব্যালটে ভোট হয়েছে। তাই ক্রস ভোটিং হয়েছে না বিরোধীদের কিছু ভোট বাতিল হয়েছে, তা বোঝা শক্ত। গতকাল কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় আমার। জানতে পারি, ভোট কিনতে মাথাপিছু ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
আর তার পরেই কংগ্রেস (Congress) সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেছেন বক্তব্য, ক্রস ভোটিং হয়ে থাকলে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে তদন্ত করতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। যদি এর মধ্যে বিন্দুমাত্রও সত্যতা থাকে, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আর এই আবহেই বিরোধীদের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বিরোধীদের বিদ্রুপ করে তিনি বলেছেন, INDI জোটের সাংসদদের বিশেষ ধন্যবাদ, যাঁরা বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে NDA প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণনকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এত প্রকটভাবে ভোট বিক্রির বা কেনার অভিযোগ আগে কখনও ওঠেনি। এখন দেখার NDA বা INDIA জোট এই অভিযোগকে কতটা গুরুত্ব দেয়।
দেখুন অন্য খবর :