ওয়েব ডেস্ক: ডিম খেতে অনেকেই ভালবাসেন (Egg Lover)। ‘পুষ্টির ভাণ্ডার’ বলা হয় ডিমকে। কারণ প্রোটিন, ভিটামিন (Protein and Vitamin) সহ একাধিক উপকারী উপাদানে ঠাসা থাকে ডিম। ডিম খেলে শরীরে বল পাওয়া যায়। তবে ডিম সিদ্ধ (Boiled Egg) হোক বা ডানলা অনেকেই ডিমের কুসুম (Egg Yolks) ফেলে দেন। কোলেস্টেরলের ভয়ে অনেকে মুখেই তুলতে চান না ডিমের কুসুম। শুধু সাদা অংশ টুকু খান। আসলে পুষ্টিবিদরা বলছেন, সাদা অংশ (Egg Whites) হোক বা কমলা কুসুম দুটোতেই ভাল মন্দ আছে। কোনটি আপনার শরীরের জন্য বেশি উপকারী তা নির্ভর করে আপনার শরীরের উপর। নিজের শরীরের পরিস্থিতি বুঝেই ডিম খাওয়া উচিৎ। কুসুম নাকি সাদা অংশ কোনটা সেরা? দুটিরই উপকারিতা জেনে নিন।
ডিমের সাদা অংশে কী কী উপকার মেলে?
১. ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি কম থাকায় ওজন কমানোর জন্য এটি খেতে পারেন। ডায়েটে কুসুম রাখতে মানা করেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ কুসুম শরীরের ওজন বাড়ায়।
২. ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকায় এই অংশ কোলেস্টেরলের রোগীদের এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শই দেন চিকিৎসকেরা। তবে সাদা অংশে এই উপাদান থাকে না। তাই মনের আনন্দে সাদা অংশ মুখে তুলতে পারেন সকলে।
৩. শুধু কুসুমে নয়, ডিমের সাদা অংশ টুকুও কিন্তু প্রোটিনে ভরপুর। পাশাপাশি, সাদা অংশে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড পেশি গঠনে অত্যন্ত কার্যকরী।
আরও পড়ুন: পুজোয় ভিলেন বৃষ্টি, মেকআপ লং-লাস্টিং রাখতে দেখুন এই ট্রিকস
ডিমের কুসুমে কী কী উপকার মেলে?
১. চিকিৎসকেরা কোলেস্টেরলের রোগীদের ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিলেও বাচ্চা ও তরুণদের বেড়ে ওঠার স্বার্থে কুসুম কিন্তু খুব উপকারী। ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো খনিজও আছে। তাই অন্যরা কুসুম নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। যারা রোগা, মোটা হতে চায় তাঁরাও ডিমের কুসুম খেতে পারেন। আরন এতে ভরপুর ক্যালোরি।
২. ডিমের কুসুমে ভাল মানের ফ্যাট থাকায় হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পলি এবং মনোস্যাচুরেটেড, দুটো ফ্যাট আছে কুসুমে।
৩. কুসুমে থাকা কোলিন নামের খনিজ মস্তিষ্ক ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিপাকহার ভাল করতেও সাহায্য কোলিনের জুড়িমেলা ভার। হজমের গোলমাল দূর করতেও সাহায্য করে।
দেখুন অন্য খবর