ওয়েবডেস্ক- দিল্লি (Delhi) বিস্ফোরণ কাণ্ডে খবরের শিরোনামে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falah University) । সন্ত্রাসের মূল কারিগররা এখানেই বসেই তাদের মূল ছক সাজিয়েছিল। গত কালই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে (Chairman Javed Ahmed Siddiqui) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। এবার হঠাৎ করেই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কর্মী সহ ১০ জনের খোঁজ মিলছে না।
তদন্তকারীদের অনুমান, এরাও দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। আগে থেকেই সমস্ত বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই গা ঢাকা দিয়েছেন তারা। তদন্তকারীদের খবর অনুযায়ী এই বেপাত্তা হয়ে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে তিনজন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। এদের ফোন নাম্বারে ফোন করা হয়েছে, কিন্তু রহস্যজনক ভাবে ফোনগুলি সুইচ অফ, ফলে সন্দেহ বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের অভিযানের পর থেকেই এই ১০ জনের কোনও খোঁজ নেই।
গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লা চত্বরে মেট্রো গেটের সামনে হুন্ডাই আই ২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত আছে এই ১০ জন জন। প্রাথমিকভাবে এমনটাই ধারণা পুলিশের।
আরও পড়ুন- দিল্লি কাণ্ডে নয়া মোড়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান গ্রেফতার
এখনও তদন্তের নির্যাস হিসেবে যা সামনে এসেছে তা ভয়াবহ। প্রায় দু বছর ধরে এই দেশবিরোধী পরিকল্পনা। এই মধ্যে মূল ভূমিকা নিয়েছে এই আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানেই ঘাঁটি গেড়ে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে গেছে তারা। এই মধ্যে রয়েছে উমর উন নবি, মুজাম্মিল্ল ও শাহিন সইদ। লালকেল্লার পার্কিং লটে গাড়িতে বসেই বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বোমা তৈরি করেছিল এই উমর উন-নবি ওরফে উমর মহম্মদ। ঘটনার আগের দিন সকালে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছিল সে। দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত করছে এনআইএ। গোটা দেশজুড়েই তদন্ত অভিযান চলছে। শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের। বিস্ফোরণের দুই ষড়যন্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
দেখুন আরও খবর-







