Wednesday, December 3, 2025
HomeScroll'আমাদের কাছে এখন লক্ষ্য হল এসএসসি', জানালেন ব্রাত্য বসু
Bratya Basu

‘আমাদের কাছে এখন লক্ষ্য হল এসএসসি’, জানালেন ব্রাত্য বসু

"আমরা চাকরিহারাদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দিতে চাই"

ওয়েব ডেস্ক : প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি (Primary Teachers Recruitment Case) বাতিল মামলায় একক বেঞ্চের রায় খারিজ করেছে আদালত। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, তাঁদের কাছে এখন লক্ষ্য হল এসএসসি (SSC)। আমরা চাকরিহারাদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দিতে চাই।

এই রায়ের পর সাংবাদিকদের সামনে ব্রাত্য (Bratya Basu) বলেন, “এই রায় প্রামাণ করে দিল যে, এই সরকার, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সবসময় শিক্ষকদের পাশে আছেন। এবং থাকবেন। সত্যের জয় হল।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখন কাজ হচ্চে এসএসসি-র যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা আছেন, তাঁরা যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে, নিরপেক্ষতার সঙ্গে, তাঁদের মেধার জায়গা থেকে তাঁরা যাতে চাকরি ফিরে পান সেটা সুনিশ্চিতকরণ করা। গত ৫ বছর ধরে আমাদের দফতর কোর্ট কাছারি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই, ইডি, বিরোধীদের আক্রমণ মধ্যে কাজ করছে। প্রাথমিকের পর এসএসসির যোগ্য চাকরিহারাদের হাতে আবার যদি নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারি তাহলে আমাদের ৫ বছরের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। তাহলে আমাদের রাজনৈতিক দল নিশ্চিন্ত মনে রাজনৈতিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।”

আরও খবর : প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায় নিয়ে কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?

চাকরি বহাল রায়কে নিয়ে কয়েকজন মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন। সে প্রসঙ্গ ব্রাত্য বলেছেন, “কোর্টের যাওয়ার অধিকার তো সবার আছে। এটা খালি মনে রাখতে, যারা পেল, এবং যারা চাকরি হেলেন, এবং যাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে তাঁদেরকে রাজনৈতিক সংকীর্ণ জায়গা থেকে দেখা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে তারা আমাদের রাজ্যেরই ছেলে। ”

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার পরে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই সময় নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। তবে তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২৩ সালে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই সময় বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ করতে হবে। তাতে যোগ্য ও উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি বহাল থাকবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। সেই সময় তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য একক বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল।

কিন্তু রাজ্যকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু কথা বলা হয়েছিল। তবে তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য ও পর্ষদ। তবে পরে মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চেই পাঠানো হয়। সেই মামলায় বুধবার ৩২ হাজারে চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News