কলকাতা: বহুতল আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশনের এক আধিকারিক জানান, এ বিষয়ে সোমবারের মধ্যে সব জেলাশাসকের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাত্র দু’টি জেলা থেকে রিপোর্ট আসে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়, রাজনৈতিক দল হোক বা আবাসনের বাসিন্দা – কারও তরফেই তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সেই কারণেই আপাতত বহুতলে বুথ তৈরির পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর দাবি, আবাসনের বাসিন্দারা নিজেদের ‘প্রাইভেসি’ ও শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছিলেন। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও উঠেছিল আপত্তির সুর। ভিন্ন ভাষা, জাতি ও ধর্মের মানুষ থাকায় অনেক আবাসন থেকেই আপত্তি এসেছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে আপত্তি জানান। তার ফলেই শেষ পর্যন্ত কমিশন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বলে দাবি ফিরহাদের।
আরও পড়ুন: ১০ ডিগ্রির নীচে নামবে পারদ, বাংলায় জাঁকিয়ে শীতের দাপট
এদিকে সোমবারই বিএলও-দের পারিশ্রমিক বাবদ ৬১ কোটি টাকা ছাড়ে রাজ্য সরকার। কমিশনের দাবি ছিল ৭০ কোটি, যার মধ্যে প্রথম দফায় এই অর্থ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি দ্রুত মেটানো হবে। এর আগে প্রথম দফায় বিএলও-রা ২,০০০ টাকা করে পেয়েছিলেন, দ্বিতীয় দফায় পাবেন ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা। সুপারভাইজারদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ৮,০০০ টাকা।
অন্যদিকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনে খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে প্রায় ৫৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ভোটারের নাম। এর মধ্যে মৃত ভোটার প্রায় ২৪ লক্ষ, ডুপ্লিকেট ১.৩ লক্ষের বেশি এবং নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ। পাশাপাশি যৌনপল্লি, বৃদ্ধাশ্রম, বিশেষভাবে সক্ষম হোম ও বিধবা কেন্দ্রগুলির বাসিন্দাদের কাছে ফর্ম পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
দেখুন আরও খবর:







