ওয়েবডেস্ক- প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার (32,000 primary school job cancellation cases) রায়দান আজ। চাকরি যাবে? না থাকবে? চূড়ান্ত চাপানউতোর। আজ বুধবার দুপুর ২টোয় প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি সংক্রান্ত মামলায় রায় হবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী (Justice Tapobrata Chakraborty) ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের (Justice Ritabratakumar Mitra) ডিভিশন বেঞ্চ। আজ হাইকোর্টের (High Court) রায় উপর নির্ভর করছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ।
প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন হাই কোর্টে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় রাজ্য।
২০১৪ সালের ‘টেট’ -এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। ৪২ হাজার ৫০০ জনের বেশি নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ২০২৩ সালের মে মাসের ১২ তারিখ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।
আরও পড়ুন- ‘এসআইআর আতঙ্কে’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্যেরও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে। নতুন নিয়োগের হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং পর্ষদ। শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল। ১২ নভেম্বর হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়। রায় স্থগিত রেখেছিল হাই কোর্ট।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তার রায় উল্লেখ করেছিলেন, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকেরা স্কুলে যাবেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে। সেখানে যোগ্য এবং উত্তীর্ণদের চাকরি বহাল থাকবে।
দেখুন আরও খবর-







