কলকাতা: আজ টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তর জন্মদিন(Birthday Jishu Sengupta)। যীশুর আসল নাম বিশ্বরূপ সেনগুপ্ত। যদিও বাংলা ছবির পাশাপাশি তিনি হিন্দি, তেলেগু,কন্নর চলচ্চিত্রে কাজ করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কলকাতায় তাঁকে ছোটপর্দায় ‘সারেগামাপা’ গানের রিয়েলিটি শো-এর বিচারকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। জ্যোতিষীদের মতে এই তারিখে জন্মানো জাতকরা সাধারণত জনপ্রিয় হয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় তারা অন্যদের প্রতি সংবেদনশীল এবং আপন করে নিতে পারেন। সাম্প্রতিককালে তার পারিবারিক সম্পর্ক যে ভালো যাচ্ছে না তা সকলেরই জানা। স্ত্রী নীলাঞ্জনার সঙ্গে তিনি একসঙ্গে থাকেন না।
অসংখ্য বাংলা ছবি যা তাকে টলিউডের জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছে । এগুলির মধ্যে ‘নৌকাডুবি’, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’, ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘রাজকাহিনী’, ‘জাতিশ্বর’, ‘এক যে ছিল রাজা’ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি ছবি বলা যেতে পারে ভিন্ন স্বাদের। ইদানিং তার দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করেছেন দক্ষিণী চলচ্চিত্রের দর্শকদের। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালনা এবং সংগীত চর্চাতেও যীশু সমান পারদর্শী। এছাড়াও ক্রিকেট খেলা তার অত্যন্ত প্রিয়। তিনি একজন যথেষ্ট ভালো ক্রিকেট প্লেয়ার।বলিউডের সেলিব্রিটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় যীশু বাংলা দলের অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: টানা ৮ ছবিতে খলনায়িকা হবেন শ্রদ্ধা!
তিনি শ্যাম বেনেগলের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: দ্য ফরগোটেন হিরো (২০০৪) দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। তার কর্মজীবনে একটি টার্নিং পয়েন্ট আসে যখন তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে ‘আবহমান’ ছবিতে কাজ করেন সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন।পরবর্তীকালে ঋতুপর্ণ ঘোষের বেশ কিছু ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
একটি সাক্ষাৎকারে যীশু বলেছিলেন, ‘‘এখন আমার সময় একটু বেটার। লোকে আমার সিনেমা দেখছে, ভালো অভিনেতা বলছে। একটা সময় আসবে যখন বলবে, ‘না না যীশুকে নিস না’। এমন একটা সময় আমার জীবনে আগে একবার এসেছিল। একটা সময় এসেছিল আমাকে বলা হতো যীশু ‘আনলাকি’। যেসব সিনেমাতে প্রোডিউসাররা দেব, জিৎ অথবা প্রসেনজিৎকে এফোর্ড করতে পারতো না, সেইসব সিনেমাতে আমাকে নেওয়া নিত। তারপর যীশু লাকি হয়ে গেল। যীশু ভালো অভিনেতা হয়ে গেল। এখন আমি সিনেমার হিরো হই কী ভিলেন হই, সেটা আমার কাছে ব্যাপার না। গল্পে আমার চরিত্র কী সেটাই আসল মনে করে কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে যখন আনলাকি বলা হতো তখনও আমার কখনও মন খারাপ হয়নি, আমি আমার কাজটি করে গিয়েছি। একটা কথাই জানতাম আমাকে আমার কাজ করে যেতে হবে।’’