ওয়েব ডেস্ক: ধর্মের (Religion) সঙ্গে বিজ্ঞানের (Science) কি কোনও দ্বন্দ্ব রয়েছে? এ নিয়ে বহু দার্শনিক (Philosophy) নানা মত দিয়েছেন। চর্চা নির্যাস হিসেবে বলা যায় আসলে সমস্যা দেখা যায় ব্যবহার নিয়ে। ধর্মের নামে গণেশ দুধ খায় বা গো মূত্র সেবনের কথা বললে অবৈজ্ঞানিক চিন্তা ভাবনা বলে যুক্তির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্ত ধর্ম ও বিজ্ঞান হাত ধরাধরি করে চলে এমন উদাহরণও প্রচুর রয়েছে। একটির জন্য আরেকটি নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে তখনই তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। সেখানে কোটি কোটি মানুষ আসেন। সারা বিশ্ব থেকে ভক্তরা আসেন। হিন্দু ধর্ম মতে পুণ্য স্নানে নিজেদের বিশুদ্ধ করেন। সেই উপলক্ষে সেখানে প্রচুর মানুষের রুটি রুজির জোগানও হয়। মানসিক শান্তি পান ভক্তরা। শরীরও যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি পায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। সবচেয়ে বড় কথা বিবিধের মাঝে মিলন মহান ঘটে। মানুষে মানুষে ভক্তি স্রোতের ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সঙ্গে তার কোনও বিরোধ নেই। বিজ্ঞান আমাদের বাস্তবে ফেরায়। যুক্তির কথা বলে। বিজ্ঞানের উপরই আগামীর ভবিষ্যত। অর্থাভাবে থমকে যায় বিজ্ঞান কংগ্রেস! সেখানে মহাকুম্ভের ধর্মীয় মঞ্চে হাজার হাজার কোটি টাকার খরচ কেন্দ্রীয় সরকারের। য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দেশে বিজ্ঞান প্রসারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, আসলে ধর্মের নামে নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডায় রয়েছে ভোটের অঙ্ক। আগামী সপ্তাহেই রাজধানী দিল্লি ও এবছর বিশেষ করে বিহার বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশে গিয়ে ভারতের কোন কথা বলতে লজ্জা পান এস জয়শঙ্কর?
একটি ‘ধর্ম নিরপেক্ষ’ দেশ। যার সংবিধানের ৫১ A (h) ধারায় বিজ্ঞান মনস্কতার প্রসারের কথা উল্লেখ রয়েছে। সে দেশের সরকারি তহবিল খরচে সরকারের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে দর্শক বা পাঠকের মত কী?
উল্লেখ্য, ১৯০৮ সাল থেকে দেশে বিজ্ঞান গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তা-ভাবনা আদান প্রদানের অন্যতম মঞ্চ ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ, বরাদ্দ ৫ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দেওয়ায় ২০২৪ সালে তা থমকে যায়। মহাকুম্ভ মেলার জন্য কেন্দ্র সরকার দিয়েছে ২১০০ কোটি ও উত্তর প্রদেশ সরকার ৫৪৩৫.৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। (তথ্যসূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও দ্য ইকনমিক টাইমস)
দেখুন অন্য খবর: