মুম্বই: সংরক্ষিত অরণ্যে (Tourist cars) শাবকসহ বাঘিনীর (Tigresses with cubs) পথ আটকায় পর্যটকদের গাড়ি। এই নিয়ে আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (suo motu case) দায়ের হয়। এবার এই মামলায় শুনানি করল বোম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)।
আদালত অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দেয়, পর্যটকদের অরণ্যের ভিতরে নিয়ে যাওয়া গাড়ির চালক ও গাইডকেও অভিযুক্ত হিসেবে মান্যতা দিল আদালত।
উমরেদ পাউনি কারহান্দলা সংরক্ষিত অরন্যাঞ্চলে বাঘিনী ও তার পাঁচ শাবকের চলাচলে বাধা সৃষ্টির সংবাদের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয় আদালতে।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে নিখোঁজ ২৫০’র বেশি ভক্ত, ফেরাল ‘ভুলা ভটকা’ ও খোয়া-পায়া’ ক্যাম্প
বিচারপতি নীতীন সাম্বরে ও বিচারপতি ভ্রুশালি যোশী জানিয়ে দেন, ওই পর্যটকরা ছাড়াও গাড়ির চালক ও গাইডের আচরণ সম্পূর্ণভাবে অসংবেদনশীল এবং প্রকৃতির নিজস্ব আইনের পরিপন্থী। এর ফলে বাঘিনী ও তার সন্তানদের বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যটকদের নিয়ে অরণ্যের রাস্তা ধরে চলা গাড়িটি বাঘিনী ও তার শাবকদের পথ আটকে দেয়। সেই ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি ভিডিও ক্লিপ সমাজ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তার প্রতিক্রিয়ায় ওই অরণ্যাঞ্চলের ফিল্ড ডিরেক্টর গাড়ির চালক ও গাইডকে ৭ দিনের জন্য সাসপেন্ড করে। পরে সংবাদ প্রকাশিত হতে তাদের তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করার পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বনদফতরের ইন্টেলিজেন্স ব্যবস্থা এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কারণ কর্তৃপক্ষ প্রথমে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ভিডিও ক্লিপ সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে ব্যবস্থা গ্রহণ।
অথচ অরণ্য প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা প্রত্যেক কর্মীর অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন। এমন মন্তব্য সহ মুখ্য বনপালকে হলফনামা দিয়ে ওই বাঘিনী ও তার শাবকদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তাজনিত কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দেখুন অন্য খবর: