ওয়েব ডেস্ক: তদন্ত (Investigation) অন্তহীনভাবে চলতে পারে না, চার্জশিট দাখিলে দীর্ঘ বিলম্ব মামলার প্রক্রিয়া বাতিলের কারণ হতে পারে, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিং-এর বেঞ্চ স্পষ্ট মন্তব্য করেছে যে চার্জশিট দাখিলে অযৌক্তিক বিলম্ব তদন্তপ্রক্রিয়াকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে, এমনকি মামলা বাতিলেরও কারণ হতে পারে।
এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বেঞ্চ জানিয়েছে, আরও তদন্তের অনুমতি দেওয়ার পরে ট্রায়াল কোর্ট যেন ‘কার্যকরী অফিসে’ পরিণত না হয়, বরং তদন্তের গতি ও অগ্রগতি নিয়মিত খতিয়ে দেখার দায় তাদেরই। আদালত আরও জানিয়েছে, চার্জশিট দাখিলে বিলম্ব হলে তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইতে বাধ্য নিম্ন আদালত। অনন্ত তদন্তের দোহাই দিয়ে কোনও অভিযুক্তকে বছরের পর বছর মানসিক চাপে রাখা যায় না বলে দাবি বেঞ্চের।
আরও পড়ুন: বিপাকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরা, চার্জশিট জমা ইডির
এই মামলায় এক আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে আরও তদন্তের নির্দেশ জারি ছিল প্রায় ১১ বছর। এত দীর্ঘ সময় কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছনো এবং তদন্তে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, এই ধরনের অতিরিক্ত বিলম্ব পুরো মামলার ভিত্তিকেই দুর্বল করে দেয় এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করে।
মামলার রায়ে বেঞ্চ বলেছে, অভিযুক্তদের অনন্তকাল ধরে তদন্তের নামে ঝুলিয়ে রাখা যায় না। তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে তা অভিযুক্তের দৈনন্দিন জীবনে সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আইনের নামে অপরিসীম অনিশ্চয়তা তৈরি করার অধিকার কোনও তদন্তকারী সংস্থার নেই। এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে চলছিল এমন ফৌজদারি কার্যধারা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়।
দেখুন আরও খবর:







