ওয়েব ডেস্ক: ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে শাস্তি দেওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের পাশে দাঁড়াল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। খারিজ করা হল শিক্ষকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা। অবাধ্যতার কারণে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বেত মারায় শারীরশিক্ষার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। জুভেনাইল জাস্টিস ছাড়াও ফৌজদারি আইনে অভিযুক্ত হন তিনি।
বিচারপতি হেমন্ত চন্দনগৌড়ার (Justice Hemant Chandangouda) অভিমত, সন্তানকে বিদ্যালয়ে (School) পাঠানোর অর্থ, তারা সেখানে শৃঙ্খলা শিখবে, স্কুল কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অভিভাবকরা এই মর্মে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে ধরা হয়। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে অথবা তা শেখানোর স্বার্থে প্রয়োজন মতো জোর তাদের উপর খাটাতে হয়। সাজা দেওয়ারও প্রয়োজনীয়তা আছে।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া থেকে ভারত! কেন্দ্রকে কী বলল হাইকোর্ট?
আদালত আরও বলে, শিক্ষার্থীকে অধিক কিছু সাজা দেওয়া হয়নি। তাই অভিযোগটিকে প্রাথমিক দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য মনে করলেও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কোনও অভিযোগ দায়ের হতে পারে না। তাই এই মামলা চলতে দেওয়া আইনি প্রক্রিয়া বিরুদ্ধ।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা। এফআইআর দায়ের হয় ২০২৩ সালের ২৯ জুন। কেন এত দেরিতে অভিযোগ দায়ের, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। সাজার কারণে শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, এমন প্রমাণও নেই। এমনকী যে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল তা সহ্য করার ক্ষমতা ওই শিক্ষার্থীর ছিল না, তারও প্রমাণ নেই, তাই এই মামলা খারিজ।
দেখুন অন্য খবর: