কেরালা: কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে (WAYANAD) বাঘের আতঙ্ক (Tiger Scare)। এই পরিস্থিতিতে পাঁচদিন বন্ধ রাখা হয়েছে ওয়েনাড়ের সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (Govt Engineering College, Waynar) । এই সময়ের মধ্যে অনলাইন ক্লাস (Online Class) চালু থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কলেজ পাঁচদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে এসএফআই কলেজ কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলে বলেছে, কর্তৃপক্ষ বাঘটি ধরতে বনবিভাগের উপর চাপ তৈরি করতে পারছে না।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম রাজেশ (M Rajesh) জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসে পঠনপাঠন চলবে। বাঘের উপস্থিতি আগে থেকেই জানা ছিল ৷ কিন্তু, প্রশাসন এটিকে গুরুতর বিপদ হিসেবে দেখেনি ৷ কারণ, বাঘটি এখনও কাউকে আক্রমণ করেনি ।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ গুটখা ও পানমশলা! বিরাট পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার
রাজেশ ছাত্রদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রদের থেকে জীবনের থেকে বড় কিছু নেই। বহু ছাত্র হস্টেল ও ক্যাম্পাসের বাইরে পেয়িং গেস্টে থাকে। রাতে হস্টেলের বাইরে খাবার আনতে যাওয়া বিপদজনক।
ছাত্রদের আমরা অন্ধকারে একা বের হতে বারণ করেছি, সব সময় গ্রুপের সঙ্গে থাকতে বলেছি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম রাজেশ জানিয়েছেন, আমি আশাবাদি যে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে। বাঘটি ধরা পড়বে। বনবিভাগ অতি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে।
জানা গিয়েছে, প্রশাসন একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ পেয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজেও রাস্তা পার হওয়ার সময় বাঘটিকে দেখা গিয়েছে, যা স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে । থাভিঞ্জাল গ্রামের স্থানীয় কর্মী এবং প্রতিনিধিরা এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষোভ করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ওয়ানাড়-কান্নুর মহাসড়ক অবরোধ করেন ।
ওয়েনাড় প্রকৃতি সম্রাটখানা সমিতির সভাপতি এন বদুশা জানিয়েছেন, একটি সুস্থ বাঘ স্বাভাবিক ক্ষেত্রে মানুষকে আক্রমণ করবে না, তবে থালাপ্পুঝায় বাঘকে ধরার জন্য যে হৈচৈ, এটি সমাজের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর লক্ষণ নয়। মানুষ এবং প্রাণীর সহাবস্থানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করা বন বিভাগ এবং সংরক্ষণবাদীদের উপর নির্ভর করে।
উল্লেখ্য, ভারয়াল বনাঞ্চলের আওতাধীন কান্নোথুমালা, ৪৪ মাইল, কাম্বিপালম এবং থালাপ্পুঝার আবাসিক এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর । মোট ১৪টি ট্র্যাপ ক্যামেরা ও দুটি লাইভ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। একটি খাঁচা বসিয়েছেন বনবিভাগ। বনাঞ্চল পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে । গত মাসে ওয়েনাড়ের চারটি জায়গায় কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছিল ।
দেখুন্ন অন্য খবর: