শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্কের কালো ছায়া। অজানা জ্বরে ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়েছে ১৭ জনের। রহস্যময় সেই অসুস্থতা ক্রমশই থাবা বিস্তার করছে উপত্যকাজুড়ে। এখনও পর্যন্ত ২৩০জন আইসোলেশনে (Isolation) রাখা হয়েছে।
রাজৌরি হাসপাতালের (Rajouri Hospital) চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সরকার (Central Government)।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Union Minister Jitendra Singh) জানিয়েছেন, ভাইরাসজনিত (viral) কিছু নয়। বিষক্রিয়ায় (poisoning) মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। লখনউয়ের এক গবেষনাগারের নমুনা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই পাওয়া গেছে এই তথ্য।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলিশ মেডেল বাংলার ২০ জনকে
রাজৌরি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক অমরজিৎ সিংহ ভাটিয়া জানিয়েছেন, সব চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শীতকালীন পরিস্থিতিও বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে রোগীদের চাপ বাড়ছে। রাজৌরিতে ১০ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সিনিয়রদের সাহায্য করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাজৌরির বুধল গ্রামে গত দেড় মাসে অজানা জ্বরে ১৭ জন মারা গেছে। প্রথমে জ্বর, তার পর বমি। তার পরই অচৈতন্য হয়ে মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই উপসর্গগুলি ছিল।
জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ এবং চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে অসুস্থদের শারীরিক অবস্থান দিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা। বুধবার তিন জনকে ‘এয়ারলিফ্ট’ করে জম্মুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অসুস্থ বা মৃতদের কিংবা তাঁদের পরিবারের লোকেদের সংস্পর্শে আসা সকলকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। রাজৌরির নার্সিং কলেজে নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নার্সিং কলেজের বাইরেই কড়া নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। কী কারণে এতগুলি মানুষ এইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তা জানতে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক জন শীর্ষ আধিকারিক।
এছাড়াও আছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, রাসায়নিক ও সার, কৃষি এবং জল সম্পদ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞেরা। পাশাপাশি, পশুপালন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরাও অসুস্থতার কারণ অনুসন্ধান করছেন।
দেখুন অন্য খবর-