নয়াদিল্লি: ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে তোলপাড়া রাজ্য-দেশ। এবার এপিক ও আধার সংযুক্তিকরণ (Aadhaar Epic Linking ) নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যদিও তৃণমূল স্পষ্ট বলছে, সবটাই মুখ বাঁচানোর চেষ্টা। ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের ভোটার তালিকায় আছে বহিরাগত ভোটার থেকে শুরু করে মৃত ভোটার ও ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম! এবার শাসক বিরোধী দু তরফের কাছে নির্বাচনী ইস্যু ডুপ্লিকেট ভোটার। ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দরবার করেছে বিজেপি ও তৃণমূল- দুই পক্ষ। ভূতুড়ে ভোটার (Fake Voter) বিতর্ক এড়াতে বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন।
ভোটার তালিকায় ‘ভূতের ভোটার’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুকে সামনে রেখে রাস্তায় নেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদল নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবিও জানিয়েছে, পাসপোর্ট, আধার কার্ডের মতো ভোটার কার্ডের (এপিক) ‘ইউনিক’ নম্বর চালু করা হোক। সেই আবহেই আগামী মঙ্গলবার আধার কার্ডের সঙ্গে এপিক কার্ডের সংযুক্তিকরণের বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, আধার কমিশনের সিইও, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রের সচিব এবং কেন্দ্রীয় আইনসচিব। সমস্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের থেকেও কমিশন ওই বিষয়ে মতামত এবং পরামর্শ চেয়েছে। সমস্ত রাজনৈতুক দল তাদের মতামত আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। মনে করা হচ্ছে, সংযুক্তিকরণের বিষয়ে ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন।
আরও পড়ুন: মহিলা ইনস্পেক্টরের শ্লীলতাহানি, নিউটাউনের ঘটনায় গ্রেফতার ২
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সভা থেকে রাজ্যের ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে একাধিক অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। কমিশনে দেওয়া তৃণমূলের চিঠিতে মমতা লেখেন, কেন বছরের পর বছর ধরে বিষয়টি চেপে রাখা হয়েছিল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূতুড়ে ভোটার কার্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর কমিশন রীতিমতো ব্যাকফুটে। রাজনৈতিক মহলের মতে তাই তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকল কমিশন।
অন্য খবর দেখুন