ওয়েব ডেস্ক: সিনেমা (Cinema) কি শুধুই ডিরেক্টর মিডিয়াম? তার মানে সিনেমায় ডিরেক্টর যা খুশি তাই করতে পারেন? একজন অভিনেতা (Actor) অভিনয় করার পর তার ডাবিংও তিনি করলেন। কিন্তু যখন সিনেমাটি মুক্তি পেল তখন দেখা গেল সেখানে অন্যজনের কণ্ঠস্বর। যা নিয়ে আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। এমনকী অন্যজনের ডাবিং করা সিনেমায় জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল কিরণ খেরের (Kiron Kher) মতো বলিউড অভিনেত্রীকে নিয়েও। তিনি বাড়িওয়ালি সিনেমায় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার (National Award) পান। তাতে টলিউড অভিনেত্রী রীতা কয়রাল জানিয়েছিলেন, তিনি ওই চরিত্রের ডাবিং করেছেন। অথচ তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য ভাষার সিনেমার অভিনেতার ক্ষেত্রেই মূলত এই ডাবিংয়ের ঘটনা ঘটত। কিন্তু অভিযোগ এসব না কি এখন আকছার ঘটছে। ফের এই বিতর্ক সামনে এসেছে অভিনেতা ঋষভ বসুর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে। তাতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। কমেন্টের ছড়াছড়ি। সরাসরি বাংলা সিনেমাকে ‘রেস্ট ইন পিস’ লিখে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন এই অভিনেতা।
কী লিখেছেন তিনি? একজন শিল্পীকে দিয়ে অভিনয় করানোর পর তারপর তাঁকে দিয়ে ডাবিং (Dubbing) করানো হল। শেষমেশ সিনেমায় তাঁর গলা পাল্টে অন্য একজনের কণ্ঠ ব্যবহার করা হল। যেটা তাঁর অভিনয়ের সঙ্গে মেলেও না। তাঁর অভিনয়কে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সেই শিল্পীর সম্মতি তো দূরের কথা, তাঁকে জানানো পর্যন্ত হয় না। শিল্পী তাঁর অভিনীত ছবি দেখে চমকে ওঠেন। কারণ অন্য কেউ ডাব করায় তাঁর অভিনীত চরিত্রটি অসহ্য লাগে।
আরও পড়ুন: ‘ডায়েরি অফ মণিপুর’ সিনেমার হাত ধরে বলিউড ডেবিউ মহাকুম্ভের মোনালিসার
কেউ কেউ বলতে পারেন সে তো অপরাজিত সিনেমায় মূল অভিনেতার (জিতু কামাল) কণ্ঠস্বর ডাব করেছিলেন অন্য কেউ (চন্দ্রাশিস রায়)। কিন্তু সেটা চরিত্র এবং সিনেমার প্রয়োজনে। অভিনেতার সম্মতি নিয়ে। তবে এক্ষেত্রে কোনও যুক্তি নেই। শুধু ইচ্ছে হয়েছে বলে করা হয়েছে। অভিনেতাকে সেটা জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি কেউ। জিজ্ঞেস করলে সবাই শুধু বলছেন এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। এইরকম অনৈতিক ও মেরুদণ্ডহীন আচরণের পর এঁরা মনে করেন দর্শক এঁদের বাংলা সিনেমা দেখবেন।
দেখুন অন্য খবর: