ওয়েব ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে বিড়িতে (Bidis-Bihar) বিড়ম্বনায় কংগ্রেস। সম্প্রতি, বিড়ির উপর জিএসটি হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কংগ্রেসের কেরল (Kerala Pradesh Congress) শাখা সমাজ মাধ্যমে বিহারীদের বিড়ি অনুরাগ প্রসঙ্গ টেনে জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্তকে ভোটের উপঢৌকন বলে দাবি করায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। অস্বস্তি এড়াতে বিহারবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস।
সামনেই ভোট। তার আগেই গত বুধবার রাতে জাতীয় ডিএসটি পর্ষদের বৈঠকে দেশের সামগ্রিক জিএসটি কাঠামো বস্তুত ঢেলে সাজানো হয়েছে। তাতে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে বিড়ির উপর জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্ভাবতই তাতে দাম কমছে বিড়ির। আসন্ন বিধানসভা ভোটের দিকে নজর দিয়েই বিড়ির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের কেরল প্রদেশ কমিটি সমাজ মাধ্যমে এমন ইঙ্গিত করায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিহারে। নেশাদ্রব্য নিয়ে ভোটের রাজনীতিকে জড়ানোয় বিড়ি ভক্ত বিহারীদের ভাবাবেগ আহত হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরীর। সম্প্রতি ভোটার অধিকার যাত্রায় রাহুল গান্ধীর সভায় এক কংগ্রেস কর্মী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মায়ের উদ্দেশে কুকথা বলায় বিতর্কে জড়ান লোকসভা বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: বিহারে শরিকদের আসন বন্টন নিয়ে চাপে বিজেপি
ইতিমধ্যে মোদি বিহার সফরে গিয়ে ওই ইস্যুতে কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে বিঁধেছেন। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিড়ি নিয়ে দলের কেরল শাখার মন্তব্যে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়েছে কংগ্রেস। তরিঘরি কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সমাজ মাধ্যম থেকে সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে তাতেও কংগ্রেসকে আক্রমণের ঝাঁজ কমায়নি বিজেপি। বিজেপি ও জেডিইউসহ শাসক এনডিএর শরিক দলগুলির মতে, কংগ্রেস যে বিহার বিরোধী শক্তি সেটাই প্রমাণ হয়েছে বিড়ি নিয়ে করা ওই মন্তব্যে।
অন্য খবর দেখুন