শাকিল মুস্তাক, নিউটাউন: ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে (Voter List) নাম নেই BLO -র। এমনই চিত্র ধরা পড়ল ১১৫ রাজারহাট (Rajarhat) নিউটাউন বিধানসভা (New Town Assemble) কেন্দ্রের জ্যাংড়া হাতিয়ারা দু নম্বর পঞ্চায়েতের ২৬৪নম্বর পার্টে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রত্যেকটি পার্টে বাড়ি বাড়ি গিয়ে SIR এর জন্য ফর্ম ফিলাপ করাবেন BLO রা। ইতিমধ্যেই BLO দের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে রাজারহাট ব্লকের জ্যাংড়া হাতিয়ারা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬৪নম্বর পার্টে BLO বাদল চন্দ্র হালদার (সহকারি শিক্ষক) এর নাম।
এই বাদল চন্দ্র হালদারকে (Badal Chandra Halder) নিয়েই জোর জল্পনা। কারণ ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম নেই তার। শুধু তাই নয় ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে তার বাবা মায়েরও নাম নেই। তবে কেন নাম নেই সে বিষয়ে পরিষ্কার করে বলতে না পারলেও তার দাবি কেন তাকে BLO করা হল সেবিষয়ে ভালো করে যাচাই করা উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের। প্রশাসন আমাকে BLO করেছেন। কিভাবে করেছেন সেটা তারা বলতে পারবেন। স্বেচ্ছায় আমি BLO হইনি।
আরও পড়ুন- অসমে SIR নয় কেন? কী জানাল নির্বাচন কমিশন
রাজনৈতিক নেতৃত্বদের দাবি, নির্বাচন কমিশনের সমস্ত কিছু যাচাই করে সতর্কভাবে বি এল ও(BLO) নিযুক্ত করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এসআইআর নিয়ে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০০২ ভোটার তালিকায় নাম থাকলে দিতে হবে না নথি। বাবা-মায়ের নাম থাকলেও দিতে হবে না নথি।
২০০২ সালে শেষ বার হয়েছিল এসআইআর। ২৩ বছর বাদে ফের এসআইআর হতে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর। সংবিধান অনুসারে ভোটার হতে গেলে ভারতের নাগরিক হতে হয়। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে ওয়েবসাইটে ২০০২ সালের
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়ে বিধানসভা অঞ্চল অনুযায়ী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সঙ্গে মিলিয়ে বাড়ি থেকেই ভোটাররা নিজেদের নাম তালিকায় রয়েছে কিনা দেখে নিতে পারবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানিয়েছেন, এসআইআর-ঝাড়াই বাছাই পর্বের পর ২০২৬ সালের ভোটের জন্য নয়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। কোনও ভোটার এসআইআর-এ অংশ না নিলে তাদের নাম থাকবে না নতুন তালিকায়।
দেখুন আরও খবর-







