কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের মুত্যুদণ্ড চাইল সিবিআই। এই মামলার বিচারপর্ব প্রায় শেষের দিকে। এতদিন নিম্ন আদালতে চলছিল আরজি কর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। শুক্রবার আদালতে আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বিরলতম ঘটনা বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে সিবিআই। গোটা ঘটনায় যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাতে একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়।
বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ জেলা আদালতে (Sealdah Court) সিবিআই নিজেদের সব যুক্তি দিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। জৈবিক নমুনার ফলাফল, সিসিটিভির ফুটেজ এবং সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে তারা মনে করছে সঞ্জয়ই একমাত্র দোষী। শুক্রবার সঞ্জয়কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে যা যা প্রমাণ রয়েছে তা নিয়ে বিচারকের সামনে যুক্তি পেশ করেন। সিবিআই সওয়ালে জানায়, ‘এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। অত্যন্ত জঘন্যভাবে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। তথ্য প্রমাণ ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ যা রয়েছে তাতে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর মা উড়ালপুল নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হল সিদ্ধান্ত
গত ৯ অগস্ট আরজি করের তরুণীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা। নির্যাতিতার বিচারের চেয়ে ১৪ অগস্টের রাতে পথে নেমেছিল হাজার হাজার মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই মামলার তদন্তে নেবে তদন্তকারীরা আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির হদিশ পায়। ধর্ষণ- খুনের ঘটনায় তথ্য প্রমাণের লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। সে কারণেই সন্দীপ-অভিজিতের জামিন মঞ্জুর করেছিল শিয়ালদা আদালত।
অন্য খবর দেখুন