বেঙ্গালুরু: সম্পর্কের মূল্যবোধ নিয়ে পরামর্শ কর্নাটক আদালতের (Karnatak Court)। একটি মামলার রায় দেওয়ার সময় আদালত বলে, দুজন মানুষের সঙ্গে সম্মতিতেই সম্পর্ক (A consensual relationship) হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অপরজনকে যখন তখন হেনস্থা করা যায়। সম্পর্কের সম্মতি হেনস্থার লাইসেন্স দেয় না।
এক পুলিশ আধিকারিকের (Police Officer) বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতির সাপেক্ষেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস, সেনার নিখুঁত প্যারেডে সজ্জিত দিল্লির কর্তব্যপথ
আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারী এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী (wife police constable) । তার সঙ্গে অপর এক পুলিশ আধিকারিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থা, ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
ওই পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মামলাকারী কনস্টেবলের স্ত্রীর। ২০২১ সালে অভিযোগ দায়ের পর ওই মহিলাকে ভয় দেখানো ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মহিলাকে চাপ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে হোটেলে ডেকে আবার ধর্ষণ করা হয় আদালতে জানান ওই মহিলা।
ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। আদালতে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক জানান, তিনি নির্দোষ। তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, ফলে ধর্ষণে কোনও ঘটনা ঘটেনি। দুজনের সম্মতিতেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্ন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁদের সম্পর্ক যে সম্মতিপূর্ণ ছিল, তা মেনে নিয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। কিন্তু হেনস্থার অন্য অভিযোগগুলি তিনি বহাল রেখেছেন এবং তদন্তপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, দুজনের সম্মতিতেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু অভিযুক্ত আচরণ নিয়ে মামলাকারী অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু সম্পর্কে সম্মতি মানেই, অপরজনকে হেনস্থার লাইসেন্স পাওয়া যাবে এটা নয়। সম্মতিপূর্ণ সম্মতিতেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা যায় না।
দেখুন অন্য খবর: