পূর্ব বর্ধমান: তাঁত সমবায়ের নামে, কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ। সমবায়ের যাবতীয় নথিপত্র গায়েব করে দিয়েছেন কর্ম কর্তারা। তাঁতের যন্ত্রপাতি-সহ কারখানার পরিকাঠাম পর্যন্ত বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্বস্থলিতে। দু দশক কেটে যাওয়ার পর ওই সব কর্ম কর্তাদের বিরুদ্ধে কোনও রকম আইনত ব্যবস্থা নেয়নি বর্তমান শাসক দল। তদন্তের জন্য আজ পর্যন্ত দায়ের হয়নি কোন এফআইআর, অথবা ধর পাকড়। ওই সব কর্মকর্তারা তাদের পিঠ বাঁচাতে এখন শাসক দলে ভিড়েছে। পূর্বস্থলী তথা কালনা-কাটোয়া মহকুমায় এই ধরণের বন্ধ তাঁত সমবায়ের সংখ্যা প্রায় ডজন খানেক। সম্প্রতি তাঁত সমবায়ের নামে এই কোটি কোটি টাকা তছরূপের বিষয়টি প্রকাশ্য আসতেই এলাকায় চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: অসমের খনি থেকে উদ্ধার আরও এক শ্রমিকের নিথর দেহ!
জানা গিয়েছে, , বাম আমলে তৈরি হওয়া এই সমস্ত তাঁত সমবায় গুলো বর্তমানে ভগ্ন দশায় পড়ে আছে। কারখানাগুলোর জন্য কোথাও কোথাও এক থেকে দশ বিঘা পর্যন্ত জমি কেনা হয়েছিল। সুলন্টু জাহান্নগর তাঁত সমবায়ের গোটা কারখানাটাই বর্তমানে উধাও করে দেওয়া হয়েছে, বলে অভিযোগ। পূর্বস্থলী-নবপল্লী তাঁত সমবায়টি জঙ্গলে গ্রাস করেছে। যাবতীয় তাঁত যন্ত্রপাতি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। রাত হলেই সেখানে দুস্কৃতীদের আড্ডা বসে। পলাশপুলি-পূর্বস্থলী তাঁত সমবায়ের ভগ্নদশা প্রাপ্ত কারখানাটি বেহাল অবস্থায় থাকলেও, তাঁত যন্ত্রপাতিগুলো উধাও। একই অবস্থা শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেমায়েতপুর মোড় এবং গঙ্গানন্দপুর এর তাঁত সমবায় । তাঁত শিল্পের নামে রাজ্য সরকারের কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ।
তাঁত সমবায়, কারখানার নামে কেনা বিঘের পর বিঘা এই জমির ভবিষৎ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। বন্ধ সমবায় গুলোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কোন আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। টাকা পয়সা নিয়ে রফা হয়ে গিয়েছে শাসক দলের সঙ্গে। ফলে সব জেনেও চোখ বন্ধ করে রেখেছে প্রশাসনের কর্তারা, নাকি, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে?
দেখুন অন্য খবর