ওয়েব ডেস্ক : সম্প্রতি ইন্ডিগোর (Indigo) বিমান পরিষেবায় ব্যাপক সমস্যা দেখা গিয়েছিল। বাতিল হয়েছিল একের পর এক বিমান। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) তীব্র ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। মূলত, যাত্রীদের ভোগান্তি, ক্ষতিপূরণ, সার্জ প্রাইসিং– সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলল আদালত। সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যাত্রীদের ‘সমস্যা’র জন্য ক্ষতিপূরণ, বাতিল বা বিলম্বিত হওয়া বেশ কিছু বিমানের ক্ষতির দায় এড়াতে পারে না বিমান সংস্থা।
একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, ২০১০ সালের ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)-র সার্কুলার অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইন্ডিগোকে। এই বিমান সংস্থা যাতে এই নিয়মগুলি মেনে চলে তার জন্য আদালত কেন্দ্র ও DGCA-কে দেখার কথা বলে।
বিচারপতি গেদেলা প্রশ্ন করে বলেন, কোনও সংকট তৈরি হলে কীভাবে অন্যান্য বিমান সংস্থা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করতে পারে? একলাফে সেই টাকা ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটিকে “একেবারেই অস্বাভাবিক” বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি।
আরও খবর : ‘বিরল মীমাংসা’! আর্থিক দাবি ছাড়াই বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতি
ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (FDTL) মেনে চলার জন্য বিমান সংস্থাগুলিকে যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা নভেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ইন্ডিগোসহ অন্যান্য সংস্থা সেই নির্দেশ মানেনি। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “তাহলে কেন্দ্র কি অসহায়? সংস্থাগুলি নিশ্চয়তার পরও যদি নির্দেশ না মানে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?”আদালতের তরফে আরও জানানো হয়, পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে অবহেলার অভিযোগও স্পষ্ট।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পাইলট ঘাটতি মেটানো হয়নি বলেই আজ বিমান পরিষেবা এমন সংকটে পড়েছে।
দেখুন অন্য খবর :







