ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজোর দুপুরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে (Kalyani Expressway) ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ফের চিনামাঞ্জার (Chinese Manja) ধারালো ছুরিতে প্রাণ গেল এক ব্যাক্তির। বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উপর (Kalyani Expressway)। মৃত ব্যাক্তি এক প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ঘুড়ি ওড়ানোয় মেতেছে শহর ও রাজ্যের মানুষজন। আকাশে রং বেরঙের ঘুড়ির মেলা। ঘুড়ি দেখতে ভাল লাগলেও, সর্বনাশী ঘুড়ির প্রাণভোমরা চিনামাঞ্জা। আর এই সর্বনাশী মাঞ্জাই (Chinese Manja) প্রাণ কাড়ল এক ব্যাক্তির। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বাইকে করে এয়ারপোর্টের দিকে যাওয়ার সময়েই হথাথ উড়ে আসা চিনা মাঞ্জার ধারালো সুতো গলায় পেঁচিয়ে যায় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর। গলায় মারাত্মক আঘাত লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান ওই ব্যাক্তি।
কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উপর তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত ছুটে আসেন এলাকাবাসী। তড়িঘড়ি তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজোর সকালে মেট্রো বিভ্রাট! গ্রিন লাইনে বন্ধ পরিষেবা
ছুরি বলছি কারণ এই মাঞ্জা কোনও সাধারণ সুতো নয়। কাঁচ ও আঠা মিশিয়ে তৈরি হয় এই মাঞ্জা। কাঁচের গুঁড়ো যত বেশি পরিমাণে থাকে সেই মাঞ্জার ধার তত বেশি হয়। ফলে সামান্য অসাবধানতাও হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী।
উল্লেখ্য, চিনামাঞ্জা গলায় জড়িয়ে প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জার ছুরিতে মৃত্যু হয়েছে। আবার মাঞ্জায় কারও নাক, গলা, কারও নাক, কারও বা কপাল কেটে গিয়েছে মা উড়ালপুলে। ফেন্সিং বসিয়ে বা সচেতনতা প্রচার করা সত্ত্বেও চিনামাঞ্জা থেকে দুর্ঘটনা আটকানো যায়নি। প্রাণঘাতী চিনামাঞ্জা ব্যবহার রোধে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। উৎসবের দিন আর কতদিন আতঙ্ক মাথায় নিয়ে চলাফেরা করতে হবে শহরবাসীকে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দেখুন অন্য খবর