কলকাতা: ২০২৫ বছরের প্রথম দু মাসে দেশের বিভিন্ন সংস্থার তৈরি প্রায় ৩০০ ওষুধ কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের (Drag Control) গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। উত্তীর্ণ হতে না পারা সংস্হার মধ্যে এই রাজ্যের একাধিক সংস্থার ওষুধ রয়েছে বলে খবর। খোলা বাজার থেকে এইসব ওষুধের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর সেগুলিকে ‘নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস’ (Not for the Standrad Drugs) ঘোষণা করা হয়েছে। এই উত্তীর্ণ হতে না পারা ওষুধের তালিকায় নামী সংস্থার বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ডের একাধিক ওষুধ রয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার বড় বদল! তিন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাজারে জাল ওষুধের রমরমা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের ওষুধ পরীক্ষার সাম্প্রতিক রিপোর্ট নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিভিন্ন কারণে ড্রাগ কন্ট্রোলের ছা়ড়পত্র পায়নি নামী দামী ব্রান্ডের একাধিক ওষুধ। এর মধ্যে কাফ সিরাপ, সাধারণ স্যালাইন থেকে শুরু করে পক্সের টিকা, বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ঔষধও রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্যাকেটের গায়ে ছাপানো দাবি অনুয়ায়ী ভেতরে ওষুধ মিলছে না। আবার অভিযোগ কোনও কোন ও ট্যাবলেট খাবার পর শরীরে গিয়ে দ্রবীভূত হচ্ছে না, শক্তই থেকে যাচ্ছে। আবার কোনওটায় যে পরিমাণ ওষুধ আছে বলে দাবি করা হচ্ছে তার মাত্রা কম থাকছে। কোনও কোনও ওষুধে অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ পাওয়া গেছে। সেই সমস্ত ওষুধগুলির সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।
এই অনুত্তীর্ণ ওষুধগুলোর মধ্যে কোনওটা আবার সঠিকভাবে পরিশোধন করা তরল দিয়ে বানানো হয়নি, আবার কোনোটার ট্যাবলেটের গায়ে কালো কালো ছোপ। কোনও
কোনোও ট্যাবলেট ক্যাপসুলের আবার ল্যামিনেশন-এর ত্রুটি আছে। কোনোটায় একই স্ট্রিপে থাকা কিছু ট্যাবলেট এক রঙের, কিছু ট্যাবলেট অন্য রঙের। কোনও কোনও ওষুধ আবার ব্র্যান্ড জাল করে বানানো বলে অভিযোগ। এর মধ্যে একাধিক বহুজাতিক সংস্থার ব্র্যান্ডেড ওষুধও আছে। এই সমস্ত ব্যাচের ওষুধগুলোর বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।
দেখুন আরও খবর: