কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) পর এবার হাড়োয়ায় (Haroa) হাসপাতালে নাবালিকা রোগীকে যৌন হেনস্থার (Physically Harassed Haroa Hospital) শিকার হতে হয়। শারীরিক পরীক্ষার নামে হাসপাতাল কর্মী নাবালিকার গোপনাঙ্গে অশ্লীল স্পর্শ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকির দেওযার অভিযোগ উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের। হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জ্বর, বমির সমস্যা নিয়ে হাড়োয়া হাসপাতালে ভর্তি হয় নাবালিকা। সঙ্গে ছিল তার মা। তবে নাবালিকার মাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার নামে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী শেখ রিয়াজ শৌচালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পোশাক খুলতে বলা হয়। গোপনাঙ্গে অশ্লীলভাবে স্পর্শ করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নাবালিকা। চিৎকার করতে শুরু করে। হাসপাতালের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সুযোগ বুঝে শেখ রিয়াজ পালিয়ে যায়। তবে যাওয়ার সময় নাবালিকাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন:রেশনে ভুতুড়ে কাণ্ড, ১১ মাস ধরে মৃত মহিলা হাজির বিডিও অফিসে
ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল হাসপাতাল চত্বরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। অভিযোগ ওঠে, অভিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান নাবালিকার পরিজনরা। হাড়োয়া – বেড়াচাঁপা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভ দেখা সিপিএমও। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্য খবর দেখুন