ওয়েব ডেস্ক: হাঁসখালি (Hanskhali Incident) গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতার পুত্র-সহ ৯!মঙ্গলবার শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত। সোমবার রানাঘাট নাবালিকাকে মর্মান্তিকভাবে গণধর্ষণ এবং জোর করে শ্মশানে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এবার ৯ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত রানাঘাটে এডিজে আদালত৷
২০২২ সাল, নদিয়ার নৃশংসতার দুঃস্মৃতি আজও তাড়না করে হাঁসখালির বাসিন্দাদের।নাবালিকার গণধর্ষণ, খুন।তারপর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় জোর করে শ্মশানে দাহ।তিন বছর পর সেই মামলায় বড় রায়। সোমবার নয় জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল রানাঘাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত (এডিজে)। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় সংঘটিত হয়েছিল অপারাধ৷ হাঁসখালি থানা এলাকায় ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানানো হয়, ৫ এপ্রিল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্রের জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্র এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধু মিলে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল নির্যাতিতাকে। পরে তার মৃত্যু হলে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাড়াতাড়ি দেহ সৎকার করা হয়।৩ বছর আগের এই নৃশংস ঘটনার মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছিল সিবিআই৷ এই ঘটনায় আগামীকালই দোষীদের সাজা ঘোষণা হবে বলেই জানিয়েছে আদালত৷
আরও পড়ুন: রাজ্যে SIR-এর শুনানি কবে? জানাল কমিশন
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ব্রজগোপাল গোয়ালি ওরফে সোহেল গোয়ালি এবং তার বাবা, TMC নেতা সমরেন্দ্র গোয়ালিকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট, ভয় দেখানো এবং নাবালিকার গণধর্ষণের মতো একাধিক গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তরা।আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, সোহেল গোয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩৪ (যৌথ অপরাধ), ২০১ (প্রমাণ লোপাট), ৫০৬ (ভয় দেখানো), ৩০৪(২) এবং ৩৭৬ডিএ ধারায় দোষ প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি, পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারাতেও তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।সুরজিৎ রায় ও আকাশ বাড়ৈয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও ভয় দেখানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সমরেন্দ্র গোয়ালি, দীপ্ত গোয়ালি ও পীযূষ কান্তি ভক্তকে প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অংশুমান বাগচীর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দোষ প্রমাণিত হয়েছে।







