কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( Jadavpur University ) অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে ( Bhaskar Gupta ) বুধবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইএম বাইপাসের কাছে ওই হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, ভাস্কর গুপ্তের অতীতে স্ট্রোক হয়েছিল। গতকাল থেকে তাঁর রক্তচাপ অত্যন্ত বেশি ছিল। মাথা ঘোরা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সাধারণ ওয়ার্ডে রয়েছেন, তবে রক্তচাপ এখনও ১৭০/৯০, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। তাঁকে কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। সেই ঘটনায় আহত পড়ুয়াদের দেখতে গিয়ে ভাস্কর গুপ্তকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এরপর থেকেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সোমবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার পর দশ দিনের বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকের সতর্কবার্তাকে সত্যি প্রমাণ করেই দু’দিনের মধ্যেই ভাস্কর গুপ্তকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় কাটমানি! নিশানায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, ভাস্কর গুপ্ত চার বছর আগে মুকুন্দপুরেরই এক বেসরকারি হাসপাতালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সেসময়ও উচ্চ রক্তচাপের কারণেই তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া উত্তেজনামূলক ঘটনার প্রভাবেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাঁর বর্তমান শারীরিক অবস্থায় উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি হলে তা আবারও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
অন্যদিকে, শনিবারের ওই বিক্ষোভের দিন শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়ে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাও এখনো তদন্তাধীন। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে থাকা শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়, এমনকি আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর বুধবার কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ফরেন্সিক দল কার্যালয় থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে, যা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। নমুনা পরীক্ষার পরই জানা যাবে, আগুন লাগানোর সময় কী ধরনের দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছিল। পাশাপাশি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কোনো দাহ্য বস্তু আগে থেকে রাখা হয়েছিল কি না, সেটিও স্পষ্ট হবে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
দেখুন আরও খবর: