ওয়েবডেস্ক- নিম্নচাপের (Low Pressure) জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভূটান (Bhutan Flood) । নদীর জলে জলবন্দি একাধিক এলাকা। অপরদিকে ভয়ঙ্কর অবস্থায় রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি (North Bengal Disaster)। আবহাওয়া দফতর আগেই উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেইমতো রাতের ভারী বৃষ্টিতে তছনছ উত্তরবঙ্গ। দার্জিলিংয়ের একাধিক রাস্তায় ধস নেমেছে। ফলে রাস্তা অবরুদ্ধ। সব থেকে সমস্যায় পড়েছে পর্যটকেরা। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৭। তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কার করা হচ্ছে।
অপরদিকে ভূটানের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের (Dam Of hydroelectric Project) উপর দিয়ে জল উপচে পড়েছে। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে! ভুটানে বৃষ্টি হলে সেই জল নদীর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এসে পড়ে। ফলে প্লাবনের আশঙ্কায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলার একাধিক জায়গা। রবিবার রাতের বৃষ্টিতে সেই চেহারা ভয়াবহ চেহারা নিয়ে ভূটান। ভূটানের পাশাপাশি নেপালের অবস্থাও খারাপ। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত। নেপালে ৪২ জনের মারা যাওয়ার খবর এসেছে।
প্রবল বর্ষণের জেরে শনিবার রাত থেকে ওয়াংচু নদীর জলে ভাসছে ভুটানের বিস্তীর্ণ এলাকা। তীব্র জলের স্রোতে ভেসে গিয়ে দুই ব্যক্তি। বহু জায়গায় সাধারণ মানুষের আটকে থাকার খবর পাওয়া গিয়েছে। দ্রুত গতিতে প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষকে হেলিকপ্টার করে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হচ্ছে। ডেনচুখা, ডুয়েমটো এবং হা এলাকার সঙ্গে সংযোগকারী তিনটি সেতু ভেসে গিয়েছে। অঞ্চলগুলির মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ভুটানের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে জলঢাকা, তোর্সা, রেতি, সুকৃতি, পানা, বাসরা, রায়ডাক, সংকোশ-সহ একাধিক নদী। ভুটান থেকে ডুয়ার্সে ৭২টি নদী ও ঝোরা নেমেছে। ভুটানের সেই বিপুল জলরাশি উত্তরবঙ্গে এসে পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
আরও পড়ুন- দার্জিলিংয়ে ধস, আজ নবান্নের কন্ট্রোল রুমে মুখ্যমন্ত্রী, সোমবার যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ
ভুটানের ওয়াংচু নদীর উপর তালা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্পের বাঁধের উপর দিয়ে জল উপচে পড়ছে। আরও বৃষ্টি হলে প্রবল জলের চাপে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে ৭২টি নদী ও ঝোরায় হড়পা বান দেখা দিতে পারে।
দেখুন আরও পড়ুন-