Tuesday, September 2, 2025
HomeBig newsমঞ্চ খোলার পর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বড় বার্তা মমতার, কাল কী হবে?

মঞ্চ খোলার পর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বড় বার্তা মমতার, কাল কী হবে?

ধর্মতলা থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ে ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ সরাল তৃণমূল

কলকাতা: বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে মঞ্চ গঠন করেছিল রাজ্যের শাসকদল। সোমবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করে সেনা। সোমবার দুপুরে আচমকাই সেনার তরফে ওই মঞ্চ খুলে দেওয়া শুরু হয়। সেনা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ওই মঞ্চের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। ওই সময়সীমা ফুরিয়ে যাওয়ার পরেই মঞ্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই মঞ্চ খোলার প্রতিবাদে কর্মসূচির ডাক দিলেন মমতা। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতি জেলার, প্রতি ওয়ার্ড, প্রতি ব্লকে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচারের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কলকাতা, বোলপুর, ঝাড়গ্রামসহ একাধিক জেলায় তিনি মিছিলে অংশ নেন। ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প। ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং বাংলাভাষার অপমানের প্রতিবাদে এই মঞ্চ গঠন করেছিল তৃণমূল। প্রতি শনি এবং রবিবার এখানে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বসেন রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা। সোমবার দলের মঞ্চের কাছে গিয়ে মমতা অভিযোগ তোলেন, মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মেয়ো রোডে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর প্রতিবাদে এবার সেনার জায়গা থেকে আন্দোলন মঞ্চ সরিয়ে নিল তৃণমূল।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দিল সেনা, মেয়ো রোডে মমতা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার সেনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ নেই, আমরা সেনাকে (Indian Army) নিয়ে গর্ব করি। কিন্তু সেনাকে যদি বিজেপির (Bjp) কথায় চলতে হয়, তাহলে দেশটা কোথায় যাচ্ছে, সেটা ভাবতে হবে। সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে সেনা। মঞ্চ খোলার দরকার হলে পুলিশকে বলতে পারত। এর পিছনের রয়েছে ছুপা রুস্তম বিজেপি পার্টি। খোলার আগে আমাদের দলকে জানাতে পারত। আমাকে বলতে পারত, আমি সব সময় অ্যাভেলেবল।

প্রথমে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, রানি রাসমনিতে হবে প্রতিবাদ মঞ্চ। পরে তিনি বলেন, ‘‘শুনলাম ওটা সেনার জায়গা। অনুমতি নিতে হলে আবার দিল্লি থেকে নিতে হবে। তাই আমরা সরিয়ে নিচ্ছি।’’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রানি রাসমনি নয়, আমাদের প্রতিবাদ সভা হবে ডোরিনা ক্রসিংয়ের আশেপাশে। একই সঙ্গে ঘোষণা আগামিকাল দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও পঞ্চায়েতে হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি। দলের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন তৃণমূল নেত্রী।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News