কলকাতা: এসআইআর –র বিরোধীতায় পথে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বনগাঁয় সভা করেন তিনি, সেখান থেকে একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর চাঁদপাড়া থেকে পদযাত্রা শুরু হয় মমতার। পাশে দেখা যায় মমতাবালা ঠাকুর এবং কনিষ্ঠতম বিধায়ক মধুপর্ণাকে। সঙ্গে ছিলেন সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মমতা বলেন, “আমার বাংলা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। আর আঘাত করলে, প্রত্যাঘাত সহ্য করতে হবে।” মমতার হুঙ্কার, “আমাকে আঘাত করলে, সারা ভারতবর্ষ নাড়িয়ে দেব।” মমতা আরও বলেন, “বাংলা দখল করতে গিয়ে গুজরাট হারাবে, দেশ হারাবে। ২০২৯ বড় ভয়ংকর। ক্ষমতা হারাবে বিজেপি। দিল্লির জায়গা দখল করবে তৃণমূল।” মমতা বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি? দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের ভাষা এক। যাঁরা বাংলাদেশি তাঁরা বাংলায় কথা বলে অভ্যস্ত, হঠাৎ কী করে বদলাবে? বীরভূমে জন্মেছি নইলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত। বৈধ ভোটারের কোনও ভয় নেই। ভয় পাবেন না। বিজেপি ভয় দেখিয়ে প্রচার করছে। আমি থাকতে কারও গায়ে হাত দিতে দেব না।”
আরও পড়ুন: মতুয়াগড়ে SIR ইস্যুতে ফের নিশানা নির্বাচন কমিশনকে
এদিন হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রীর বনগাঁ যাওয়ার কথা ছিল, সেটিতে লাইসেন্স সংক্রান্ত একটি সমস্যা দেখা গিয়েছে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সড়কপথেই বনগাঁ যাচ্ছেন মমতা। প্রশাসনিক ওই সূত্র মারফত এ-ও জানা গিয়েছে যে, গত ছ’মাস মুখ্যমন্ত্রী ওই কপ্টার ব্যবহার করেননি। কপ্টারটির উড়ান সংক্রান্ত লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। নিয়ম মোতাবেক, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগের দিন, সোমবার কপ্টারটি মহড়াও দেয়। কিন্তু সেই সময়ও লাইসেন্সের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলে ওই সূত্রের দাবি। মঙ্গলবার উড়ান সংস্থার তরফে বিষয়টি জানানো হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন এমন হল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
দেখুন খবর:






