Wednesday, September 17, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScroll'অনেক প্রতিবাদ করেছেন,পরীক্ষাটা ঠিকই দিয়েছেন' নোয়া বিতর্কে দাবি কল্যাণের
Kalyan Banerjee

‘অনেক প্রতিবাদ করেছেন,পরীক্ষাটা ঠিকই দিয়েছেন’ নোয়া বিতর্কে দাবি কল্যাণের

‘ফিরে গেলেও পরে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তরুণী’, দাবি কল্যাণের

কলকাতা: গত রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা (SSC Exam) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার নজরে এসেছে। যেখানে অভিযোগ করা হচ্ছে, বর্ধমানের কালনার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে শাঁখা-পলা-নোয়া পরিহিতা পরীক্ষার্থীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।তাঁকে পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে নাকি খুলতে বলা হয়েছিল হাতের নোয়া। তিনি তা করতে অস্বীকার করেছিলেন। শেষমেশ নাকি তিনি পরীক্ষা না দিয়েই বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু SSC-র তালিকায় ধরা পড়ল অন্য ছবি।

রাজ্যের অন্যত্রের মতো বর্ধমানের ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের মূল প্রবেশপথে পরীক্ষার্থীদের চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থার এক কর্মী এক পরীক্ষার্থীনীকে হলে ঢোকার আগে নোয়া খুলতে বলেন, যেহেতু নোয়াটি ধাতব। পরীক্ষার্থীনী বিষয়টি পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে মিটে যায়, এবং নোয়া পরেই নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে উনি পরীক্ষা দেন।

আরও পড়ুন: মেট্রো স্টেশনে আপৎকালীন চিকিৎসা না পেয়ে সরকারি কর্মচারী মৃত্যু

সোশাল মিডিয়ায় দাবি করলেন, নোয়া খুলতে হবে জেনে ওই তরুণী প্রথমে জানিয়েছিলেন পরীক্ষা দেবেন না। পরীক্ষা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়েও যান তিনি। সাফ জানান, এক মাস আগে বিয়ে হয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতেই নোয়া খুলবেন না। পরীক্ষাকেন্দ্র ছেড়ে চলে যান তিনি। ঘটনাটি রীতিমতো চর্চায় উঠে আসে। তবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদল করে তিনি পরীক্ষা দেন বলেই দাবি সাংসদের। পাশাপাশি পরিকল্পনা মাফিক ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। পুরো বিষয়টিই একটি বিচ্ছিন্ন ভুল-বোঝাবুঝির ঘটনামাত্র। সব ধর্মেরই প্রচলিত আচরণবিধি সরকারের কাছে সমান সম্মানের।

মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়ায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) দাবি করলেন, পরীক্ষা দিয়েছিলেন ওই বধূ। শ্রীরামপুরের সাংসদ লিখলেন, “মনীষা সিকদার, রোল নম্বর ১২২২৫২৯০৩০৫৭। ১৪০০ নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে সিট পড়েছিল তাঁর। চেকিংয়ের সময় তাঁর হাতে ধাতব বালা থাকায় মেটাল ডিটেক্টর বেজে ওঠে। প্রথমে সে পরীক্ষাকেন্দ্র ছেড়ে যায়। তবে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছিলেন তিনি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।” কল্যাণ দাবি করলেন, পরিকল্পনা মাফিক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। মণীষা সিকদার প্রেসের কাছে ওসব বলেছিলেন। যাতে প্রচার হয়। কিন্তু তিনি ফিরে গিয়ে আবার পরীক্ষাও দিয়েছেন। যদি পাশ করেন, তাহলে চাকরি পাবেন।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News