নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বুধবার মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন দেশের শাসক ও বিরোধী শিবিরের তিন শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রায় ৮৮ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠক ঘিরে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারি সূত্রের দাবি, মুখ্য তথ্য কমিশনার (CIC), আট তথ্য কমিশনার এবং পরবর্তী ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের বিষয়েই সাংবিধানিক বিধি মেনে বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রীর দফতর। মোদীর আমলে বদল হওয়া আইনের নিয়ম অনুযায়ী, এই নিয়োগ-কমিটিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এক মন্ত্রী। কমিটির সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে পাঠানোর পরই চূড়ান্ত নিয়োগ হয়। তথ্যের অধিকার আইনের ১২(৩) ধারার ভিত্তিতেই আলোচনার ডাক দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: রাহুলের পর ভোটচুরির হিসেব দিলেন অমিত শাহ, এবার কী বলবে কংগ্রেস?
তথ্য কমিশনে বর্তমানে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে সেটিও বৈঠক ত্বরান্বিত হওয়ার বড় কারণ। মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদটি সেপ্টেম্বরে হরেলাল সামারিয়ার অবসর পর থেকেই শূন্য। দশ সদস্যের কমিশনে এখন কার্যত কাজ সামলাচ্ছেন মাত্র দুই তথ্য কমিশনার। ফলে ৩১ হাজারের বেশি আরটিআই সংশ্লিষ্ট আবেদন জমে রয়েছে। সেই পদগুলির দ্রুত পূরণই ছিল বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠক শুরু হয় দুপুর ১টা ৭ মিনিটে; তার খানিক আগেই রাহুল গান্ধী পৌঁছে যান পিএমও-তে। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর সংসদ ভবনে ফিরে নিজের বক্তৃতায় অমিত শাহ রাহুলের মঙ্গলবারের পাঁচ দফা অভিযোগের জবাব দেন এবং পাল্টা জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ তোলেন। ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়েছে দিল্লির করিডরে।
দেখুন আরও খবর:







