বাঁকুড়া: দক্ষিণ বাঁকুড়ার (South Bankura) জঙ্গলমহলের (Jangle Mahal) রানীবাঁধে (Ranibandh) পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে দাদাগিরি, মারধর ও কুপ্রস্তাবের বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। রানীবাঁধ থানার সেকেন্ড অফিসার শুভম রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে পরিচারক সজল সহিষকে টাকা চুরির অপবাদে বেধড়ক মারধর, প্রাণনাশের হুমকি এবং পরিবারের সদস্য বিশেষত দিদিকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠতেই এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা রানিবাঁধ বাজারে ক্ষুদিরাম বসু স্ট্যাচু মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বাঁকুড়া (Bankura) –ঝিলিমিলি রাস্তায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে দালাল চক্র! গ্রেফতার ২
অভিযোগ, আধিকারিকের ভাড়া বাড়ি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খোয়া যাওয়ার দায় চাপিয়ে সজলকে আটক করে রেখে বেল্ট ও লাঠি দিয়ে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়। এমনকি মদ্যপ অবস্থায় সার্ভিস রিভলভার দেখিয়ে খুনের হুমকি এবং ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় বলে দাবি অভিযোগকারীর। প্রলয়ংকর নির্যাতনের চাপে চুরির অপবাদ স্বীকার করতে বাধ্য হন সজল। পরদিন ঘটনাটি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। অভিযুক্ত আধিকারিক সজলের রাজাকাটা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নগদ টাকা ও অলঙ্কার জোর করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পরিবারের। বাধা দিতে গেলে সজলের দিদিকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আহত সজল রানীবাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে গেলে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ আধিকারিকের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। রানীবাঁধ, বারিকুল ও খাতড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমিত করা যায়নি। তদন্তের আশ্বাস ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর শেষপর্যন্ত পথ অবরোধ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।
দেখুন আরও খবর:







