নয়াদিল্লি: দিল্লির (Delhi) বুকে বোমা বিস্ফোরণের পর নড়ে বসেছে প্রশাসন। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে রহস্য। এবার কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামা (Pulwama) থেকে পাকড়াও করা হল আমির রাশিদ আলিকে। বিস্ফোরণে নিহত বলে সন্দেহভাজন ডাক্তারের পেশার উমার উন-নবির ‘ঘনিষ্ট সহচর’ বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
নতুন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, উমার একটি বড় ব্যাগ নিয়ে ঢুকছেন Hyundai i20 গাড়ির ভিতরে। সেই ব্যাগেই ছিল শক্তিশালী IED, এমনটাই ধারণা তদন্তকারীদের। ফলে দিল্লি পুলিশের মতে, এটি নিছক ভুল-চুকের ডেটোনেশন নয়, বরং সূক্ষ্ম পরিকল্পনার ফসল। গাড়ির ভেতর থেকে পাওয়া দেহাবশেষের DNA পরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হয়ে যাবে বিস্ফোরণের কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তি সত্যিই উমারই। তার দিল্লিতে আসার উদ্দেশ্য নিয়েও তদন্তে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। লক্ষ্য ছিল বড়সড় নাশকতা।
আরও পড়ুন: কাজের চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী BLO! শোরগোল কেরলে
আরও জানা গিয়েছে, গাড়িটি একাধিক হাত ঘুরে উমারের কাছে আসে। সেই মালিকানা-চক্রে আমিরের ভূমিকা ‘গুরুত্বপূর্ণ’, এমনটাই মনে করছে গোয়েন্দারা। কোন উদ্দেশ্যে এই মালিকানা-বদল? তা নিয়েই এখন মুখোমুখি জেরা চলছে। তবে অন্য সুর আমিরের পরিবারের। তাঁদের দাবি, “আমির এক মুহূর্তের জন্যও কাশ্মীর ছাড়েনি।” তদন্তকারীরা অবশ্য বলছেন, অন্তত গাড়ির লেনদেনে তার জড়িত থাকার প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে।
উমার এবং আমির, দু’জনেরই যোগাযোগ জইশ-ই-মহাম্মদ-এর একটি সক্রিয় মডিউলের সঙ্গে ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ফোন রেকর্ড, অর্থ লেনদেন, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া, সবই খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর:







