ওয়েবডেস্ক- কেরলে (Kerala) বাংলাদেশি সন্দেহে (Bangladeshi suspect) পিটিয়ে খুন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant workers) । কাজের খোঁজে কেরলেও গিয়েছিলেন ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) ওই যুবক। মৃতের নাম রামনারায়ণ বাঘেল (Ramnarayan Baghel)। ৩১ বছরের ওই যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার পাঁচ। পুলিশ সূত্রে খবর, রামনারায়ণ ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা। বিবাহিত। আট ও ১০ বছরের দুই সন্তান রয়েছে তার। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, তুই বাংলাদেশি? কোন ভাষায় কথা বলিস? বলেই বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে তার কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। রামনারায়ণ জানান, গ্রামে তার এক বোন আছে।
ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন বলে ওঠে, ‘তোর বোনও বাংলাদেশি’। নারকীয় অত্যাচারে এক সময় মৃত্যু হয়েছে রামনারায়ণ বাঘেলর। দেহ ময়নাতদন্তে পরে পুলিশ জানিয়েছে দেহে ৮০টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। প্রাণঘাতী আঘাত করা হয়েছে মাথায়। এছাড়াও পেটে, বুকে এবং পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। বিভিন্ন অঙ্গের ভিতরে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে রামনারায়ণের। কেরল পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করেছে। হত্যাকাণ্ডের পরদিন পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘হানিমুন মার্ডার কেস’ ৭০০ পাতার চার্জশিট দাখিল মেঘালয় পুলিশের
মৃতের তুতো ভাই শশীকান্ত বাঘেল জানান, রামনারায়ণের আট ও দশ বছরের দুই সন্তান রয়েছে রামনারায়ণের। শোকস্তব্ধ পরিবারটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন। সরকারি সাহায্যের দাবি করেছেন শশীকান্ত।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নিহত রামনারায়ণের বাঘেলের পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে কেন বাংলাদেশি এই তকমা সাঁটিয়ে খুন? মানুষ যেখানে বড় হবে সে সেখানকার ভাষাতেই কথা বলছে সেটাই স্বাভাবিক, তার পরেও কেন এই কাণ্ড? আর কত মায়ের কোল এইভাবে খালি হবে? কেন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না?
দেখুন আরও খবর-







