ওয়েব ডেস্ক: পণের টাকা না দেওয়ার সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করেছিল স্বামী। গ্রেটার নয়ডার (Greater Noida Murder) এই ভয়ঙ্কর ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে দেশজুড়ে। পণের বলি গৃহবধূ- এই ঘটনার বিচার চাইছিলেন সাধারণ মানুষজন। অনেকেই অভিযুক্ত স্বামী বিপিন ভাটিকে এনকাউন্টার করার দাবিও তুলছিলেন। সরাসরি এনকাউন্টার না হলেও পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে (Shot) গুরুতর আহত হল অভিযুক্ত স্বামী। হয়তো একেই বলে কর্মের ফল হাতেনাতে পাওয়া।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গ্রেটার নয়ডায় ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারে জ্যান্ত জ্বলে প্রাণ হারান ২৮ বছরের গৃহবধূ নিকি ভাটি (Nikki Bhati)। অভিযোগ, ন’বছরের বৈবাহিক জীবনে বারবার পণের টাকার জন্য চাপ দেওয়া হত তাঁকে। নানা জিনিষ দেওয়া হলেও শ্বশুরবাড়ির দাবি মোতাবেক পণের ৩৬ লক্ষ টাকা না আনতে পারায় প্রথমে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। পরে মানসিকভাবেও অত্যাচারের শিকার হতে থাকে নিকি। বৃহস্পতিবার রাতে কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর জীবনটুকুও। নিকির ছোট্ট সন্তানের সামনেই তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: পণ না দেওয়ায় জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন! নৃশংসতার সীমা ছাড়াল গ্রেটার নয়ডা
ঘটনার পর শুক্রবার সকালে নিকির স্বামী বিপিন ভাটিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রমাণ সংগ্রহের সময় বিপিন পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ জানায়, পালানোর সময় সে গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বিপিনের মা, বাবা ও ভাই পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নিক্কির বোন কাঞ্চন জানান, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি ও নিক্কি দুই ভাই— রোহিত ও বিপিনকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের সময় তাঁদের পরিবার গাড়ি, মোটরবাইক, সোনা, নগদ টাকা সহ প্রচুর উপহার দিলেও, শ্বশুরবাড়ির লোকজন কখনও খুশি ছিলেন না। অন্য মহিলাদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে দুই ভাই। প্রতিবাদ করলে মারধর করা হত দুই বোনকে। শেষমেষ প্রাণটাও কেড়ে নেওয়া হল নিকির শরীর থেকে।
দেখুন আরও খবর: