ওয়েব ডেস্ক: ২০২৩-এর মে মাস থেকেই অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Unrest)। ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এই অঙ্গরাজ্যে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে আড়াইশোর বেশি মানুষের, ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আজও ঘরছাড়া। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে অশান্ত থাকলেও একবারও মণিপুরমুখী হতে দেখা যায়নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। বিরোধীরা বারবার প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর নিয়ে উদাসীন থাকাকে নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন। তবে শনিবার শেষমেষ মণিপুর গেলেন মোদি। আর গিয়েই দিলেন শান্তির বার্তা।
শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভাসছে ইম্ফল। তার মাঝেই সেখানে সভা করলেন মোদি। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদিন কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বলেন, “মণিপুরে যেকোনও ধরনের হিংসা দুঃখজনক। এই হিংসা আমাদের পূর্বপুরুষ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি এক বিরাট অবিচার। আমাদের মণিপুরকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের একসঙ্গে এই কাজ করতে হবে।”
আরও পড়ুন: ত্রাসের খেলা শেষ! আত্মসমর্পণ করলেন মাও নেতা কিষেনজির স্ত্রী
এদিন চূড়াচাঁদপুরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভারু গুরুত্ব ছিল বিরাট। কারণ ২০২৩-এ এখান থেকেই শুরু হয় মণিপুরের অশান্তি। আর সেখানে দাঁড়িয়ে মোদি বললেন যে, উন্নয়নের জন্য শান্তি জরুরি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আশা ও বিশ্বাসের নয়া সকাল শুরু হয়েছে মণিপুরে। তবে উন্নয়নের জন্য শান্তি প্রয়োজন। গত ১১ বছরে একাধিক সংঘাত হয়েছে এখানে। তবে মানুষ শান্তির পথই বেছেছেন।”
এছাড়াও এদিন মোদি বারবার মনে করিয়ে দেন যে, অশান্তির সময় কেন্দ্র বারবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে। এখনও সেই চেষ্টা চলছে বলেই জানান প্রশানমন্ত্রী। তাই শেষমেশ তিনি বলেন, “আপনাদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সকলে শান্তির পথে ফিরুন। আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।”
দেখুন আরও খবর: