Monday, November 10, 2025
HomeScrollঅসমে উচ্ছেদ অভিযানে সাড়ে পাঁচশোর বেশি বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল
Assam

অসমে উচ্ছেদ অভিযানে সাড়ে পাঁচশোর বেশি বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল

সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অসমে মিয়া মুসলিমরা

ওয়েবডেস্ক- অসমে (Assam) বিদ্বেষ! প্রায় ৫৮০টি বেশি বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে,  সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাজ্যে থাকা বাংলাভাষী মুসলিমরা (Bengali speaking Muslim। কয়েকদিন আগে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Chief Minister Himanta Biswa Sarmaবলেছিলেন যে রাজ্য জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drive) অব্যাহত থাকবে। অসমে বাঙালি বংশোদ্ভূত মিয়া সম্প্রদায় (illegal Miyas)  মুসলিমদের নিয়ে বিতর্ক আজকের নয়। হিমন্ত সরকার জোর গলায় জানিয়েছেন, যতদিন তিনি মসনদে থাকবেন ততদিন ‘অবৈধ মিয়া’রা শান্তিতে থাকতে পারবে না। আসামে বাঙালি মুসলমানদের বোঝাতে মিয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

রবিবার অসমে বনভূমির জমিতে অবৈধ বসবাসকারীদের বসতি উচ্ছেদ অভিযান পুনরায় শুরু করেছে অসম সরকার। সিঙ্গাপুরে সঙ্গীত আইকন জুবিন গর্গের রহস্যজনক মৃত্যুর পর পূর্ব, পশ্চিম এবং উত্তর আসামের বেশ কয়েকটি জেলায় এই অভিযান বন্ধ ছিল। ফের আজ থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে অসম সরকার।

পশ্চিম আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালু হয়েছে। বন বিভাগ দহিকাটা সংরক্ষিত বনে ১৫৩ হেক্টর জমি জুড়ে বিস্তৃত ৫৮৮টি বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গোয়ালপাড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তেজস মারিস্বামী বলেন, উচ্ছেদের আগে এই ৫৮৮টি পরিবারকে নোটিশ ধরানো হয়েছিল। নোটিশ পাওয়ার পর, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অবৈধ বসতি স্থাপণ করে যারা এখানে বসেছিল, তারা নিজেরাই চলে গেছে। উচ্ছেদ অভিযান শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে, কোনও বড় সংঘর্ষ বা প্রতিরোধ হয়নি।

আরও পড়ুন-  প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারি অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের নিয়ে গাওয়ানো হল RSS -এর গান!

মারিস্বামী জানিয়েছেন, দহিকাটা সংরক্ষিত অরণ্য হাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল। উচ্ছেদকৃতদের একটি বিরাট অংশই বাঙালি মুসলিম। আমরা আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে একটি বৃক্ষরোপণ অভিযানের মাধ্যমে এই হাতির আবাসস্থলকে পুনরুজ্জীবিত করব। এই বৃক্ষ রোপণ করলে মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমরা একের পর এক সংরক্ষিত বনাঞ্চলে যাচ্ছি। আমরা আটটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দখলমুক্ত করেছি। আরও কিছু এলাকা আছে যেখানে দখলমুক্ত করতে হবে।

গোয়ালপাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ টিমুং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে গুয়াহাটি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে এই অভিযান চালানো হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য কর্তৃপক্ষ বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী, খননকারী যন্ত্র এবং ট্রাক্টর সহ ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করেছে।

এদিকে উচ্ছেদ হওয়া এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উচ্ছেদকে সামনে এনে জুবিন গর্গের ন্যায়বিচারের দাবি থেকে মানুষকে সরাতে পারবে না।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News