কলকাতা: নাগরিকত্ব ও হিন্দুত্বের পরিচয়পত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য কাকদ্বীপে (Kakdwip)। অভিযোগ, বাসন্তী ময়দানে প্রায় ১৫ দিন ধরে দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে একটি ক্যাম্প খোলা হয়েছিল, যেখানে দাবি করা হচ্ছিল ৪৬০ টাকা জমা দিলেই ভারতীয় নাগরিকত্ব ও “হিন্দু পরিচয়পত্র” দেওয়া হবে (District news)।
ক্যাম্পে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি সম্বলিত একটি বড় ফ্লেক্স টাঙানো ছিল, যা দেখে বহু সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছিলেন আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য। তবে বিষয়টি জানাজানি হতেই তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যাম্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ পৌঁছানোর সময় ক্যাম্পে কেউ উপস্থিত ছিল না, ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, কোন কোন পদে নিয়োগ?
অভিযোগকারীদের প্রবীর দাস বলেন, “অন্যের মুখে শুনে গিয়েছিলাম যে এখানে ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন নেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে একটি হিন্দু পরিচয়পত্রও বানিয়ে দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। আমি একটি আবেদনপত্র জমা দিই, ৪৬০ টাকা নেওয়া হয়, কিন্তু কোনও রশিদ দেওয়া হয়নি। এক মহিলা আমার মোবাইল নম্বর নিয়েছেন, বলেছেন ১৫ দিন পর ফোন করে ডেকে নেবেন।”
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার অভিযোগ করে বলেন, “নাগরিকত্ব ও হিন্দুত্বের পরিচয়পত্রের নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা হচ্ছিল। ক্যাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবিযুক্ত ফ্লেক্স ছিল। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সহযোগিতা ছাড়া এমন ক্যাম্প খোলা সম্ভব নয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পটি আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।”
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা অশোক পুরকাইত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “হিন্দুত্বের কার্ড করে দেওয়ার ক্ষমতা বিজেপির নেই। পার্টি থেকে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সিএএ-এর আবেদনপত্র পূরণের সহায়তার জন্য হয়তো কোথাও ক্যাম্প হয়েছে, কিন্তু তার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ক্যাম্প কারা খুলেছিল এবং টাকা সংগ্রহের নেপথ্যে কারা আছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
দেখুন আরও খবর:







