ওয়েব ডেস্ক: ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে (India-Bangladesh) কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার দাবিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্য সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে, সীমান্তে ফেন্সিংয়ের কাজ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা কী এবং জমি অধিগ্রহণে দেরি কেন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিন পর আমেরিকায় উঠল দীর্ঘমেয়াদি ‘শাটডাউন’!
আবেদনকারীর দাবি, “পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ২২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর বহু অংশেই এখনও পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে সীমান্তপারে বেআইনি অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান অবাধে চলছে। এতে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া থমকে আছে, তাই ফেন্সিংয়ের কাজও সম্পূর্ণ হচ্ছে না।”
অন্যদিকে কেন্দ্রের এডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানান, “ফেন্সিংয়ের কাজ এগিয়ে নিতে কেন্দ্র প্রস্তুত। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা মিলছে না, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় কাজ আটকে আছে।”
এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে কলকাতা হাইকোর্ট। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত এই মামলায় হাইকোর্টের অবস্থান আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি করতে পারে।
দেখুন আরও খবর:







