বীরভূম: বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন সোনালি বিবি (Sonali Bibi)।শুধু মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নয়, একই সঙ্গে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সামিরুল ইসলানকেও। শনিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সেই বীরভূমের রামপুরহাটে পাইকরের বাড়িতে ফেরেন তিনি।এদিন বীরভূমে ফেরার আগে বলেন, ‘আর কোনও দিন দিল্লি যাব না। দিল্লি পুলিশ যা করেছে, অমানবিক। আমরা অনেক অনুরোধ পরেও BSF-কে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিল।’ সোনালির কথায়, ওখানে ভালো ছিলাম না, কষ্টে ছিলাম। নিজের দেশে ফিরে এসেছি, খুব ভালো লাগছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।’
বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে সোনালি ও তাঁর নাবালক ছেলেকে পাকড়াও করেছিল দিল্লি পুলিশ। BSF ‘পুশ ব্যাক’ করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল। সেই থেকে প্রতিবেশী দেশের জেলে ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি। তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের পুশ ব্যাকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। সোনালিকে দেশে ফেরানো নিয়ে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টও কঠোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রকে। সোনালিকে দ্রুত ফেরানো নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলে।বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জে বেশ কয়েক মাস জেলবন্দি থাকার পরে শুক্রবার মালদার মহদিপুর স্থল বন্দর দিয়ে ফেরানো হয় সোনালি ও তাঁর ছেলেকে।
আরও পড়ুন:বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করে কী বললেন হুমায়ুন কবীর?
দেশের মাটিতে পা রেখেই সোনালি বিবি বলেন, “ফিরে এলাম। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। সামিরুল ইসলামকেও ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশে অনেক কষ্টে ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা পাঠিয়ে ছিলেন। তবে বাংলাদেশ পুলিশ কোনও অত্যাচার করেনি। আর কোনও দিন দিল্লি যাব না। ‘আর কোনও দিন দিল্লি যাব না। দিল্লি পুলিশ যা করেছে, অমানবিক। আমরা অনেক অনুরোধ পরেও BSF-কে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিল।
দেখুন ভিডিও







