কলকাতা: জেল হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে সোমবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জীবনকৃষ্ণকে। নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ৬ দিনের ইডি হেফাজত শেষে এবার ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নাটতীয় মুহুর্ত। এজলাসে ঢুকেই ছেলেকে আদর করলেন জীবনকৃষ্ণ। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী ও বাড়ির লোককে দেখে ।
ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে পেশ করার সময়, নিজের ছেলেকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন জীবন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ইডি হেফাজত বাকি ছিল তার, সেটাও হল। এমনকি ইডি আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে পৌঁছলে কেন তিনি মোবাইল ফেলে দেন এই প্রশ্ন সাংবাদিকদের করলে তিনি বলেন, মোবাইল তিনি ফেলেননি, পড়ে গিয়েছিলেন। আমি পালাতে চাইনি বলে বিস্ফোরক জীবনকৃষ্ণ।
ইডি জানিয়েছে, আমরা জেল হেফাজতে চাইছি। আমরা কিছু তথ্যের অপেক্ষায় আছি। ২০১০ থেকে এখনও পর্যন্ত জীবনের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা লেনদেন। ইডির সন্দেহ, দুর্নীতির টাকা আলুর ব্যবসায় খাটিয়েছেন জীবন। তদন্তে সহযোগিতা করছেননা জীবন। হেফাজতে কোনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেননি জীবন। তাই হেফাজতে রেখে লাভ নেই। জেল হেফাজত পাঠানো হোক। অন্যদিকে, জামিনের আবেদন করেননি জীবনকৃষ্ণের আইনজীবি।
আরও পড়ুন: ‘মোবাইল ছুড়িনি, পড়ে গিয়েছিলাম’, দাবি জীবনকৃষ্ণের
প্রসঙ্গত, বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সে বারও তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের দেখে জীবনকৃষ্ণ দু’টি মোবাইল ফোন বাড়ির পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। তিন দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে, পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে, জল ছেঁচে সেই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যদিও তার থেকে ভাল করে তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর পর ১৩ মাস জেলে ছিলেন জীবনকৃষ্ণ।
দেখুন খবর: