ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রবিবার নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সঙ্ঘের (RSS) সদর দফতরে (Headquarter) পৌঁছলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম তিনি রেশমিবাগে আরএসএসের হেড কোয়াটার্সে গেলেন। তাঁকে স্বাগত জানান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওকার, দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক এমএস গোলওয়ালকারের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের দিকে তাকিয়ে সারা দেশ।
প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, আরএসএসের দুই শক্তিশালী স্তম্ভের মেমোরিয়াল লাখো স্বয়মসেবকের অনুপ্রেরণা। যাঁরা দেশের সেবার জন্য নিজেদের সমর্পণ করেছেন। নাগপুরে স্ম্রুতি মন্দির পরিদর্শন বিশেষ অভিজ্ঞতা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ২০০০ সালে ড. হেডগেওয়ার স্ম্রুতি মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্মৃতি বিজড়িত দীক্ষাভূমিও পরিদর্শন করেন। নাগপুরে উদ্বোধন সহ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: মায়ানমারে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’! উদ্ধারকাজে কী কী সাহায্য ভারতের?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বিশ্বগুরু বলে দাবি করছিলেন। সব জায়গায় মোদি-মোদি-মোদি দেখছিলেন। এখন অবশ্য ফ্রিডম্যানের পডকাস্ট শোয়ে নিজেকে সাধারণ মানুষে ফিরিয়ে এনেছেন। গেরুয়া শিবিরের অন্যতম ভিত্তি আরএসএস। তাদের ছাড়াই মোদি নির্বাচনী বৈতরণী পার করে যাবেন ভেবেছিলেন। আরএসএসকে নাক গলাতে না দিয়ে নিজেই সব সিদ্ধান্ত নিতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোনওরকমে গদি বেঁচেছে। সরকার গঠন হয়েছে নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর কৃপায়। মহারাষ্ট্র সহ বিগত বিধানসভা নির্বাচনগুলি জিততে আরএসএসকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। বিপদ বুঝে তাই আরএসএসের শরণাপন্ন মোদি। অনেকে মনে করছেন, বিজেপির রীতি অনুযায়ী ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে তাঁকে বিজেপির পদ থেকে অবসরে পাঠানো হয়। মার্গদর্শনমণ্ডলীতে পাঠানো হয়। যেভাবে লালকৃষ্ণ আদবাণী ও মুরলী মনোহর যোশীদের পাঠানো হয়েছে। মোদিরও ৭৫ বছর হতে চলেছে। ফলে গদি বাঁচাতে আরএসএসকে দিয়ে নিজের পক্ষে সওয়াল করিয়ে নিতে চাইছেন। আবার বিজেপির নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করা ও এক পদ এক নীতি মেনে জেপি নাড্ডার বদলে অন্য কারও সভাপতি হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নতুন সভাপতি কাকে করা হতে পারে তা নিয়ে মোদির সঙ্গে ভাগবতের আলোচনা হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে মোদির এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে। বিশেষ করে এবছরই বিহার সহ একাধিক বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ বাংলা। সম্প্রতি মোহন ভাবগত ১০ দিনের লম্বা সফর করে গিয়েছে রাজ্যে।
Visiting Smruti Mandir in Nagpur is a very special experience.
Making today’s visit even more special is the fact that it has happened on Varsha Pratipada, which is also the Jayanti of Param Pujya Doctor Sahab.
Countless people like me derive inspiration and strength from the… pic.twitter.com/6LzgECjwvI
— Narendra Modi (@narendramodi) March 30, 2025
দেখুন অন্য খবর: