ওয়েবডেস্ক- ধবংসের ৩৩ বছর পার, ফের সেই বিতর্ক উসকে দিয়ে বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) শিলান্যাস হল। যার নেপথ্যে ছিলেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) । ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের (Murshibad) এই বাববি মসজিদের শিলান্যাসের কথা ঘোষণা করতেই দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয় তাঁকে। নাম না করে মুর্শিদাবাদ থেকে হুমায়ুন কবীরকে ‘মীরজাফর’ বলে তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ ৬ ডিসেম্বর ছিল সেই শিলান্যাস। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় এদিন সকাল থেকেই ছিল উপচে ভরা ভিড়। ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের ভিড় বাড়াতে থাকেন হুমায়ুন অনুগামীরা। অবশেষে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় স্থাপিত হল বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর। মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা পরস্পরকে কোলাকুলি করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর শুভেচ্ছা জানান। বলা যায় রাজ্য সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শিল্যান্যাস করলেন হুমায়ুন কবীর। এর পরে চওড়া হাসি হাসলেন তিনি।
আরও পড়ুন- বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করে কী বললেন হুমায়ুন কবীর?
এদিন হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি কোনও অসাংবিধানিক কাজ করিনি। হাইকোর্ট বলে দিয়েছে, হুমায়ুন কবীর কোনও অসাংবিধানিক কাজ করেনি। আমরা বাবরি মসজিদ করার উদ্যোগ নিতেই একদল রাম মন্দির বানাতে গেল, আমরা কিন্তু কোনও বাধা দিইনি। এদিন হুমায়ুন বলেন, আমার মাথার দাম রেখেছে ১ কোটি টাকা। কেউ যদি মনে করে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ থেকে এসে বলবে, আর ইট খুলে দেব, তাহলে বলে রাখি আপনারা হুমায়ুনের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে তার ঘোষণা আগামী ২২ তারিখ, বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে নতুন দল ঘোষণা করব।
এদিনের শিলান্যাস অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। কলকাতা হাইকোর্টের শিলান্যাসের অনুমতি দিলেও কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় আদালত। নজরদারিতে ছিল কুইক রেসপন্স টিম, র্যাফ ভিলেজ পুলিশ থেকে মহিলা কনস্টেবল। মাঠের চারপাশ ঘিরে রাখে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা।
দেখুন আরও খবর-







