ওয়েব ডেস্ক: অরাজকতা দূর করতে বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক পালাবদল ঘটিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারপর দেশ চালানোর দায়িত্ব পেয়েছে মহম্মদ ইউনুসের (Mohammed Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government)। সবেমাত্র সাড়ে ছ’মাস হয়েছে ইউনুস সরকারের। এর মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে মিলল কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির (Corruption) প্রমাণ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, ইউনুস সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে বিপুল মূল্যের বিটকয়েন কিনে ফেলেছেন।
রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, মাত্র ছয় মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমের নামে কেনা হয়েছে ৯৩.০৬ বিটকয়েন। এর মূল্য প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১০০ কোটি বাংলাদেশি টাকা। একইভাবে, ছাত্রনেতা থেকে সরকারী উপদেষ্টা হওয়া নাহিদ ইসলাম-এর বিনান্স অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েন রয়েছে। এর বাজারমূল্য ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২২০ কোটি বাংলাদেশি টাকা। এছাড়াও, ছাত্রনেতা থেকে উপদেষ্টা হওয়া আসিফ মাহমুদ সাজিব ভূঁইয়ার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১১৩ বিটকয়েন, যার বাজারদর প্রায় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ইউনুসের আমলে বেড়েছে ভারতীয় পণ্যের আমদানি! দেখুন রিপোর্ট
তবে সবথেকে বিতর্ক হচ্ছে সারজিস আলমকে ঘিরে। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসের আন্দোলনে বড় ভূমিকা রাখলেও কোনও সরকারি পদে নেই। কিন্তু বিষ্ময়করভাবে তিনি ৭.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছেন। এখানেই শেষ নয়, সরকারি পদে না থেকেও তিনি রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা ভোগ করছেন। একইভাবে, খান তালাত মাহমুদ রাফিও কোনও সরকারী পদে না থেকে যেমন সব রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাচ্ছেন, তামনই তাঁর বিনান্স অ্যাকাউন্টে মিলেছে ১১.০৯ বিটকয়েন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ এখন মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। চরমে পৌঁছে গিয়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেড়েছে বেকারত্ব, আইনশৃঙ্খলাও দাঁড়িয়ে প্রশ্নচিহ্নের মুখে। দেশের এমন অবস্থায় যখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা, তখন দুর্নীতিবাজ নেতারা বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছেন। এই চাঞ্চল্যকর তথ্যাবলী বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির দিকে ইঙ্গিত করছে। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের দাবিতে যারা একসময় রাজপথ কাঁপিয়েছিল, তারাই কি এখন জনগণের টাকা লুটপাটে লিপ্ত? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দেখুন আরও পড়ুন: