কলকাতা: সাত বছর জেলবন্দি থাকার পর সর্বোচ্চ শাস্তি পাচ্ছেন ইয়েমেনে (Yemen) বসবাসকারী ভারতীয় নার্স (Indian Nurse) নিমিশা প্রিয়া (Nimisha Priya)। গত সোমবার তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায়ে (Death Sentence) সিলমোহর দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ-আল-আলিমি। ২০১৭ সালে ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদিকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে রয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী নিমিশা। ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পরিবার এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালালেও তাঁর শাস্তি মুকুব সম্ভব হয়নি।
এবার মেয়ের সাজা মুকুবের জন্য কাতর হয়ে আবেদন জানালেন নিমিশার মা প্রেমা কুমারী। মঙ্গলবার ইয়েমেন থেকে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত সব রকমের সাহায্য করার জন্য ভারত ও কেরল সরকারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তা-ও শেষবারের মতো অনুরোধ করছি, কিছু করুন। ওকে বাঁচান। সময় ফুরিয়ে আসছে, দয়া করে ওকে বাঁচান। এটাই আমার শেষ আবেদন।” ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে নিমিশার মায়ের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া হয়েছে। তাঁকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যথাসাধ্য সাহায্য করা হবে। কিন্তু মোটকথা এখনও অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে ভারতীয় নার্সের জীবন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দিল ইয়েমেন! কোন অপরাধের শাস্তি?
প্রসঙ্গত, কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনের এক হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন। সেই সময় তালাল মাহদি নামে এক ইয়েমেনি নাগরিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ২০১৫ সালে যৌথ উদ্যোগে তাঁরা একটি ক্লিনিক চালু করেন। কিছুদিন পরেই তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। অভিযোগ, মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি এক ব্যক্তির সহায়তায় মাহদির দেহ টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে লুকিয়ে ফেলেন। এরপর দেশ ছাড়ার চেষ্টা করার সময় নিমিশা গ্রেফতার হন।
দেখুন আরও খবর: